প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল

তৃণমূলের অভিযোগ, কিছু ঘটে গেলে তারপর পুরসভার টনক নড়ে। অথচ গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় রোগ নিয়ে সচেতনতা প্রচারে কোনও সক্রিয় ভূমিকা নেই।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক সৌম্যদর্শন দত্তর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী এবং তাঁদের দুই মেয়ে। কৃষ্ণাদেবী নিজেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এনএসওয়ান পরীক্ষায় তাঁর শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি নার্সিংহোমে মারা যান ওই চিকিৎসক।

Advertisement

এ দিন ডেঙ্গি নিয়ে সৌম্যদর্শনবাবুর বাড়ির এলাকায় পুরসভার তরফে করে সচেতনতা প্রচার করা হয়। অথচ এতদিন কেন ওই ওয়ার্ডে ঠিক ভাবে প্রচার করা হল না, রোগ প্রতিরোধের কাজ কেন ঠিক মতো হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। মার্গারেট স্কুলের সামনে থেকে বিকেলে মিছিল শুরু হয়ে এলাকায় ঘোরে। শহরের এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রতিবাদে শুক্রবার পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবে বিরোধী তৃণমূল। সৌম্যদর্শনবাবুর আত্মীয় সুবীর বিশ্বাস, রঞ্জন দত্তদের আফশোস, শহরের বিভিন্ন এলাকাতেই ডেঙ্গি হচ্ছে। তাই সৌম্যদর্শনবাবুকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। অথচ তাঁকে বাঁচানো গেল না।

তৃণমূলের অভিযোগ, কিছু ঘটে গেলে তারপর পুরসভার টনক নড়ে। অথচ গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় রোগ নিয়ে সচেতনতা প্রচারে কোনও সক্রিয় ভূমিকা নেই। পুর কর্তৃপক্ষ কী করছেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে সচেতনতা প্রচার-সহ যা করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করেই কাজ করা হচ্ছে।’’ পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের দাবি, পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নিয়েছে। তাঁর ওয়ার্ডেই মেয়রের বাড়ি। সেখানেও ডেঙ্গি, জ্বরে আক্রান্ত অনেকে। তিনি বলেন, ‘‘রোগের প্রকোপ বাড়লেও তা প্রতিরোধে সঠিক ভাবে পুরসভা কাজই করছে না। রাজ্য সরকার থেকে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষায় ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। অথচ সমীক্ষা কাজ ঠিক মতো হয়নি।’’ মেয়র বিবৃতি দিতে এবং রাজনীতি করতেই ব্যস্ত থাকছেন বলে তাঁর দাবি। পুরসভারই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন প্রধাননগর এলাকার বাসিন্দা ফুড ইন্সপেক্টর গণেশ ভট্টাচার্য। এক বরো অফিসারও জ্বরে আক্রান্ত।

Advertisement

৪, ৫, ১২, ১৫, ১৬, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ। তার মধ্যে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর পর ওই ওয়ার্ড অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। বাড়ি বাড়ি জ্বরের রোগী। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সমস্যার কথা শোনার মতো লোক নেই। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর অভিযোগ তুলেছেন, বারবার বললেও তাঁর ওয়ার্ডে মশা মারার তেল পর্যান্ত মিলছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন