প্রতীকী ছবি।
ইসলামপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন চলাকালীন কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পর কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি ও এসইউসি একযোগে অভিযোগ তুলেছে পুলিশের গুলিতেই ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি ও আরএসএসের মদতেই বহিরাগত দুষ্কৃতীরা পুলিশকে সামনে রেখে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ওইদিন দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কেনও পড়ুয়াদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলি চলল ও গুলি চালানোর ঘটনার পিছনে আসল রহস্য কী, এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য, গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা দলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের কাছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ফোন করে দাড়িভিটের ঘটনার দ্রুত বিস্তারিত রিপোর্ট ও তাঁদের মতামত পেশ করতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী অমল ও রব্বানিকে গত দু’দিনে একাধিকবার ফোন করে দাড়িভিটের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। এদিন দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দাড়িভিট এলাকায় যান মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও ইসলামপুরের তৃণমূলের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল। তাঁরা মৃতদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গুলি চালানোর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন।
অমলের দাবি, ‘‘দলকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছি। এবিভিপি ও বিজেপির মদতেই ওইদিন নিরীহ ছাত্রদের উপরে গুলি চলেছে।’’ বিজেপি সেই দাবি অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের দাবি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর কাছে কোনও রিপোর্ট তলব করেননি।