মোর্চার নাকের ডগার কলেজে জয় পেল তৃণমূল

সব ঠিক থাকলে মাস দু’য়েকের মধ্যেই পাহাড়ে পুরভোট হতে পারে। তার মুখে মোর্চার নাকের ডগা থেকে বিজনবাড়ি কলেজ এক রকম একতরফা ভাবে জিতল তৃণমূল।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

জয়োল্লাস: বিজনবাড়ি কলেজে টিএমসিপির জয়ের পরে বিজয় মিছিল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

সব ঠিক থাকলে মাস দু’য়েকের মধ্যেই পাহাড়ে পুরভোট হতে পারে। তার মুখে মোর্চার নাকের ডগা থেকে বিজনবাড়ি কলেজ এক রকম একতরফা ভাবে জিতল তৃণমূল। ১১টি আসনে টিএমসিপি পেয়েছে ১০টি। মোর্চা জিতেছে ১টিতে।

Advertisement

বিজনবাড়িতে জয়ের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড় থেকে সমতলে। ভোটের মুখে ৩ দিন ধরে দার্জিলিঙে ঘাঁটি গেড়ে টিএমসিপির ছেলেদের নিয়ে ‘পরিবর্তন’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিঙের পর্যবেক্ষক তথা ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি এ দিন শিলিগুড়িতে বলেন, ‘‘পরিবর্তনের সূচনা করে দেওয়ার জন্য পাহাড়বাসীদের ধন্যবাদ। এ বার সামনে এগোনোর পালা।’’

২০১১ সালের অক্টোবরে বিজনবাড়িতে মোর্চার সভার সময়ে দোলনা সেতু ভেঙে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। তার পরে সব থেকে আগে সেখানে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই তাঁর সঙ্গে বিজনবাড়ির আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়, বলছিলেন তৃণমূলের পাহাড়ের মুখপাত্র বিন্নি শর্মা।

Advertisement

এ দিন মোর্চার জনা ত্রিশ নেতা কলেজে হাজির থাকলেও টিএমসিপিকে রুখতে পারেননি। মোর্চা সূত্রেই খবর, নানা অভিযোগ বারবার উঠেছে। কেউ ব্যবস্থা নেন না। বিজনবাড়ির জিটিএ সদস্য সতীশ পোখরেল ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্ত্বেও দল ব্যবস্থা নেয়নি। সে সবের বিরুদ্ধে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে কলেজ ভোটে।

দার্জিলিঙের সব থেকে বড় ব্লক বিজনবাড়ির ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটিই কলেজ। ’৯৩ সালে চালু হওয়া সেই কলেজে মোর্চার আমলে ভোটই হয়নি। মোর্চার ছাত্র সংগঠন যাঁদের মনোনীত করতেন, তাঁরাই সংসদ চালাতেন। সেখানে যা খুশি তা-ই করা হতো বলেও অভিযোগ। মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ ও সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এখন দিল্লিতে। রোশন বলেন, ‘‘কেন হেরে গেলাম তা নিয়ে এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। ভুলত্রুটি থাকলে শুধরে নিতে হবে।’’ বৃহস্পতিবার রাতে রোশন জানান, এ দিন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

টিএমসিপির এই জয়ে গোর্খা লিগ, জিএনএলএফের সঙ্গে পাহাড়ের বাম নেতারাও খুশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন