পঞ্চায়েত নিেয় তৎপর সব দল

জয়ী ‘নির্দল’, যুব-দখলে ৫ পঞ্চায়েত

পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে দু’দিন আগেই দলের যুব নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

দিনহাটা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০৭:১৩
Share:

জয়ী: দিনহাটা ভিলেজ ১ পঞ্চায়েতের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে দু’দিন আগেই দলের যুব নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার দিনহাটা ১ ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি বকলমে নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। মাত্র ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে গেল। এ দিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ছিল।

Advertisement

যুব তৃণমূলের দখলে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো হলো গীতালদহ ১, ২, ওকড়াবাড়ি, পুটিমারি ২ ও বড় শৈলমারি। তৃণমূলের দখলে বড় আটিয়াবাড়ি ১ ও ২ এবং দিনহাটা ভিলেজ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। পুটিমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচিত নির্দল প্রার্থী বিষ্ণু দাস। উপপ্রধান হন নির্দল প্রার্থী হানিফুর রহমান। বিষ্ণু যুব তৃণমূলের নেতা বলে এলাকায় পরিচিত। সে ভাবেই গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হন যুব তৃণমূলেরই কর্মী নির্দল প্রার্থী আবু আল আজাদ এবং উপপ্রধান হন নির্দল নিতাই বর্মন। এ ছাড়াও গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হয় নির্দলের বীথিকা বর্মন ও উপপ্রধান হয়েছেন মনসুর আলি। বড় শৈলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপ প্রধান হয় নির্দল বিউটি রায় বর্মন ও নিশা রায়। ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান হয় রেণুকা বিবি ও মিলন সরকার। তাঁরা এ বার মূল স্রোতে আসেন কি না, সেটাই দেখার।

বড় আটিয়াবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান হয়েছেন তৃণমূলের ভূমিকা দাস বর্মন ও আব্দুল জলিল মিঁয়া। বড় আটিয়াবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন তৃণমূলের মকবুল হোসেন ও মধুমিতা অধিকারী দেবনাথ। এ ছাড়াও দিনহাটা ভিলেজ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন তৃণমূলের লিপিকা বর্মন ও উপপ্রধান হন বাপি রহমান।

Advertisement

এ দিন বোর্ড গঠনের পরে বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা পৃথক পৃথক ভাবে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন। বোর্ড গঠন পর্ব চলাকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ তার তদারকি করেন। এদিন তাঁরা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, দলের জেলা সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ প্রমুখ। বোর্ড গঠনের পর পাঁচটিতেই তৃণমূলের যুবরা ক্ষমতা দখল করায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

রবীন্দ্রনাথবাবু এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। যুব তৃণমূলের কর্মীরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জেতার ব্যাপারে উদয়ন বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বোর্ড গঠন নিয়ে যাতে কোনও শান্তি বিঘ্নিত না হয়, সেটা একটা চিন্তার বিষয় ছিল। তবে প্রথম পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন