শিলিগুড়ি পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ফের ভোটগ্রহণ হবে আজ সোমবার। শিলিগুড়ির পুরভোটের রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক দীপাপপ্রিয়া রবিবার এই খবর জানিয়েছেন। যদিও এই বুথে ফের ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি মনে করছে তৃণমূলের চাপেই ফের ভোট গ্রহণ হচ্ছে। যদিও, বামফ্রন্টের দাবি, ইভিএমে বিভ্রাট থাকাতেই ভোটগ্রহণে অসুবিধা হয়েছিল। তাই পুনরায় ভোট নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ওই বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই বুথে ফের ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ তিনি জানান, জ্যোতিনগর এলাকার পাটেশ্বরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’নম্বর ঘরে ভোট নেওয়া হবে সোমবার সকাল ৭টা থেকে। ভোটগ্রহণ শেষ হবে ৩টেয় নির্ধারিত সময়ে বলে প্রশাসনিক সুত্রে জানা গিয়েছে। এই বুথে ভোটার সংখ্যা ১০২১। এর মধ্যে ৫০৮ জন পুরুষ এবং ৫১৩ জন মহিলা রয়েছে।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার অভিযোগ করেন, ‘‘পুনরায় নির্বাচন হতে পারে আন্দাজ পেয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে একাধিকবার মহকুমাশাসক, নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসিকে ফোন করে পুনর্নিবাচনের ব্যপারে জানতে চাই। কিন্তু দেড়টার আগে পর্যন্ত আমাদের কিছু জানাননি কেউ। অথচ তৃণমূল সকাল আটটা থেকে বাড়ি বাড়ি ভোটার স্লিপ বিলি করেছে।’’ ফের ভোটের কতা তৃণমূলকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি রথীন বসুও দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল সরকারি দল হওয়ার সুযোগ নিয়ে জোর করে ভোট করাচ্ছে। যন্ত্র খারাপ হয়ে থাকলে ভোট বন্ধ করে দিতে পারত। পরে ভোটগ্রহণ করা হল কেন?’’
এদিন তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য ও ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়ন্ত কর অবশ্য এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই বুথে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এক বোতামে চাপ দিলেও ভোট অন্য জায়গায় আলো জ্বলছে। আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটকর্মীরা যন্ত্র পরীক্ষা করে তা বদলে দেন।’’ পরে অবশ্য ভোট নেওয়া হলেও, শেষ পর্যন্ত পুননির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমরা পুননির্বাচনে চিন্তিত নই। কারণ সেখানেই যতবার ভোট হবে আমরাই এগিয়ে থাকব।’’
এদিন রাতেই সমস্ত ভোটকর্মী ও পুলিশকর্মীরা বুথে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।