টোটো চালিয়ে প্রকল্প উদ্বোধন মন্ত্রীর। —নিজস্ব চিত্র
এ বার টোটো চালকের সিটে খোদ মন্ত্রী। রবিবার এ ভাবেই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের গাড়ি উদ্বোধন করলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার শিলিগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ওই পরিষেবা চালু হয়। ঠেলা ভ্যানের বদলে টোটোয় করে বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে বলে দাবি ওয়ার্ড কমিটির।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘পরিষেবা দিতে পুর কর্তৃপক্ষ সার্বিক ভাবে ব্যর্থ। আমাদের কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড এবং বরোগুলির মাধ্যমে উন্নত পরিষেবা দিতে চেষ্টা করছি। পুরসভার ব্যর্থতা নিয়ে জানুয়ারি থেকে টানা আন্দোলনে নামা হবে।’’ রাজ্যের পুর দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর শিলিগুড়ি পুর এলাকায় প্রচুর কাজ করছে বলে দাবি মন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘সরকারকে অপবাদ দিতে পুরসভাকে আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে না বলে মেয়র মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন।’’
মেয়রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। শহরে কিছু কাজ করতে গেলে পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পুরসভার মাধ্যমেই করা উচিত। তা নিয়ে বিধানসভাতেও বলেছি। পুরসভার প্রাপ্য বকেয়া টাকা চেয়ে অনেক বার পুর দফতরে চিঠি দিয়েছি।’’ তিনি বলেন, চাইলে আন্দোলন কেউ করতেই পারেন।
ওয়ার্ড কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে দু’লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে দু’টি টোটো কেনা হয়েছে। ৪টি ঠেলা ভ্যানে করে ওই কাজ হতো। আবর্জনা সংগ্রহের পর তা দেড় কিলোমিটার দূরে ওয়ার্ডের এক প্রান্তে জমা করে আসতে হতো। তাতে সময় লেেগ যেত। টোটো হওয়ায় সেই কাজ দ্রুত হবে বলে দাবি কাউন্সিলর মাণিক দে’র। তাঁর দাবি, শহরে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘চার জন কর্মী চারটি ঠেলা ভ্যানে কাজ করেন। পুরসভার কাছে আরও দু’জন কর্মী ও নতুন ভ্যান চাওয়া হয়েছিল। মাত্র দু’টি ভ্যান মিলেছে।’’
বেলা সাড়ে ৯টা থেকে অনুষ্ঠান হবে বলে তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর, ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান প্রদীপ গোয়েল, ৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন শীলশর্মারা উপস্থিত ছিলেন। এক ঘণ্টারও বেশি দেরি হয় মন্ত্রীর পৌঁছতে। অনুষ্ঠান শুরু হলে মঞ্চে ডাকা হয় দুই বরো চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরদের। রঞ্জনবাবু অবশ্য মঞ্চে না উঠে চলে যান। তিনি বলেন, ‘‘আমার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে আরেকটি অনুষ্ঠান ছিল। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির লোকদের তা জানিয়ে গিয়েছি।’’