মন্ত্রী নেই, উল্লেখ ধনখড়ের

তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যপালের এই ধরনের অনুষ্ঠান নেতা, জনপ্রতিনিধিরা এড়িয়ে চলবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৮
Share:

মুহূর্ত: ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের নর্থবেঙ্গল চ্যাপ্টারের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

তাঁর বৈঠক বা অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে। এই বিষয়টি যে তিনি লক্ষ্য করেছেন, সে কথা জানিয়ে এ দিন শিলিগুড়ির এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রীর। কোনও কারণে হয়তো তিনি আসতে পারেননি। ওঁর হয়তো এই অনুষ্ঠানের থেকেও বড় কোনও দায়িত্ব পড়ে গিয়েছে। আর তিনি সরকারিভাবে যে দায়িত্বে সামলাচ্ছেন, সেখানে ভাল উন্নয়নের কাজ হলে তো এই অঞ্চল বিশ্বের সামনে বড় ভাবে উঠে আসবে।’’ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পর্যটনমন্ত্রীর শহরে দাঁড়িয়ে পর্যটনের বিকাশের কথাই গৌতমকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যপালের এই ধরনের অনুষ্ঠান নেতা, জনপ্রতিনিধিরা এড়িয়ে চলবেন। এ দিনই শিলিগুড়ি এসে পৌঁছন গৌতম দেব। তার পরে তিনি চলে যান ময়নাগুড়িতে অন্নদা রায়ের বাড়িতে। অন্নদা সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের দাবি, এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। অন্নদার বাড়িতে এ দিন গিয়েছিলেন আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। পরে গৌতম বলেন, ‘‘উনি (রাজ্যপাল) সাংবিধানিক প্রধান। কী বলেছেন, তা নিয়ে কিছু বলছি না। আমি দার্জিলিং জেলার জনপ্রতিনিধি নই। আর আমাকে তো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’

রাজ্যপাল এ দিন মারওয়াড়ি সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পরে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হিলকার্ট রোডের একটি হোটেলে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) নর্থবেঙ্গল চ্যাপ্টারের উদ্বোধনেও হাজির ছিলেন তিনি। গৌতম জলপাইগুড়ি জেলার বিধায়ক। তাই দার্জিলিঙের জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে তাঁর থাকার কথা নয়। তবে আইসিসি-র অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

Advertisement

জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘অশোক ভট্টাচার্য প্রাক্তন মন্ত্রী। প্রবীণ ব্যক্তিত্ব, বর্তমানে বিধায়ক এবং মেয়র। শহর সংক্রান্ত ১০টি বিষয় লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সভাধিপতি তাপস সরকার ইতিহাসের শিক্ষক। গ্রামীণ এলাকার চার দফা বিষয় নিয়ে বলেছেন। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়েছে। শঙ্কর মালাকার কংগ্রেসের বিধায়ক। উনি কয়েকটি সমস্যার কথা বলেছেন।’’ তার পরেই অনুপস্থিতদের প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, ‘‘তিন জন আসেননি। মন্ত্রী গৌতম দেবেরও একটি বৈঠকে আসার কথা ছিল। উনি আসেননি। হয়তো রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন বা মন্ত্রীর একসঙ্গে কাজ পড়ে গিয়েছে। আমি প্রতিটি জেলায় সফরে যাব। সেখানে কে এল আর কে এল না, তা কোনও বিষয় নয়। যাঁরা আসেননি, তাঁদের সঙ্গে হয়তো আগামী দিনে আবার যোগাযোগ হবে।’’

গৌতম এই কথার প্রেক্ষিতে পরে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এলে মন্ত্রীদের যেতে হয়, এটা আমার জানা নেই। ওটা তো রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কাজ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বা রাজ্যপালের অন্য অনুষ্ঠানে গিয়েছি। আমায় চেম্বার অব কর্মাসের তরফে অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল। আমরা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় যেতে পারিনি। তা উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন