ফেরা: সিকিম থেকে নেমে আসছেন পর্যটকেরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
ইন্টারনেট পরিষেবা এবং স্থানীয় কেবল চ্যানেলের উপর আরও এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি রাখল প্রশাসন।
মঙ্গলবার দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন ৪ জুলাই মাঝরাত অব্দি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। প্রশাসনিক অফিসারেরা জানিয়েছেন, পাহাড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি শুরু হতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নানা প্রচার শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে তা বিদ্বেষের পর্যায়ে পৌঁছয়। এমনকী, নানা মাধ্যমে হুমকি, আপত্তিকর মন্তব্যও সামনে আসে। তাতেই ইন্টারনেট ও কেবল পরিষেবা বন্ধ করে প্রশাসন।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা, পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে যা যা প্রয়োজন, করা হয়েছে। টেলিফোন, এসএমএস বা সংবাদপত্র নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।
তবে এর ফাঁকেও কিছু ইন্টারনেট পরিষেবা খুব ধীরে হলেও কাজ করছে বলে পাহাড়বাসীদের একাংশ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলের পর কিছু কিছু পরিষেবা দিয়ে ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ গিয়েছে। তবে ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য তা বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কেউ বা সন্ধ্যার বাইকে চলে যাচ্ছেন মিরিকের পশুপতি বাজারের দিকে। তেমনই, ঝালং, বিন্দু নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ঝোঁক বেড়েছে।
সমতল-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আত্মীয়, বন্ধুদের ফেসবুক, ট্যুইটারের পাসওয়ার্ড টেলিফোনে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ই-মেলের পাসওয়ার্ড বলা হয়েছে। তাঁরাই সেগুলি ব্যবহার করে আলাদা রাজ্যের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। একই ভাবে মোর্চার শীর্ষ নেতাদের কয়েক জনও নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সচল রেখেছেন।
এ দিন বিকেলে ফেসবুক পোস্টে বলে হয়, কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম দিয়ে বলা হয়, পাহাড়ের কোনও ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়লে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কিন্তু সরকার বা পুলিশ প্রশাসনের তরফে ওই অফিসারদের এমন কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে তাঁরা বিভিন্ন স্তরে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশের শীর্ষ মহলেও পৌঁছেছে।