সময়ে কাজ শেষ করার আর্জি

বাণিজ্য শহর হিসেবে চ্যাংরাবান্ধার গুরুত্ব দিনদিন বাড়ছে। চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দর এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কারণে এই এলাকার আলাদা একটা গুরুত্ব ছিলই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চ্যাংরাবান্ধা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:০১
Share:

সংস্কার: চ্যাংরাবান্ধায় ট্রাক টার্মিনাসে কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র

চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক টার্মিনাসের সংস্কার ও আধুনিকিকরণের কাজ সময়ে শেষ করার আর্জি জানালেন ট্রাক চালকেরা।

Advertisement

বাণিজ্য শহর হিসেবে চ্যাংরাবান্ধার গুরুত্ব দিনদিন বাড়ছে। চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দর এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কারণে এই এলাকার আলাদা একটা গুরুত্ব ছিলই। ভারত-ভূটান-বাংলাদেশ পণ্য পরিবহণের কারণে বাম আমলে এখানে একটি ট্রাক টার্মিনাস গড়ে তোলা হয়। কোচবিহার জেলা পরিষদের অধীনে রয়েছে এই টার্মিনাসটি। এই সীমান্ত দিয়েই তিন দেশের মধ্যে বহির্বাণিজ্য হয়। তাই প্রতিদিন অনেক ট্রাক বাইরে থেকে পণ্য নিয়ে চ্যাংরাবান্ধায় আসে। যার ফলে পুরনো ওই টার্মিনাসটি আধুনিক করার দাবি উঠেছিল বেশ কয়েক বছর আগে। অবশেষে, এই বাণিজ্য কেন্দ্রের পাশে থাকা ট্রাক টার্মিনাসটিকে আধুনিক করার কাজ শুরু হয়েছে। সাড়ে সাত কোটি ব্যয়ে টার্মিনাসটির আধুনিকিরণ করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

এই ট্রাক টার্মিনাসের গুরুত্ব যে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে তা মেনে নিয়েছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জলিল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন সীমান্তে বাইরে থেকে প্রচুর ট্রাক আসছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে টার্মিনাসটিকে অত্যাধুনিক করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেকারণে কিছু কাজ চলছে।’’ আরও কাজের বিষয় নিয়ে তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মন্ত্রী তাঁকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

টার্মিনাসের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি ট্রাককর্মী-সহ স্থানীয়রা। ট্রাক কর্মীরা জানান, বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য পণ্য নিয়ে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে পৌঁছনোর পর তাঁদেরকে বেশিরভাগ সময়েই এখানেই বেশ কিছুদিন আটকে থাকতে হয়। এই সময় তাঁদের এই টার্মিনাস চত্বরেই বসে থাকতে হয়। তাংদের অভিযোগ, এখানে তাঁদের জন্য তেমন ভাল কোনও সুবিধে বা পরিষেবা নেই। ট্রাক পার্কিং করা, থাকা, খাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যায় তাঁদের প্রতিদিন ভুগতে হয়। ট্রাকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে পানীয় জল এবং শৌচাগারের সমস্যাতেও তাঁদের পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেম তাঁরা। তাই টার্মিনাসের ভিতরে খাওয়ার ধাবা, পেট্রল পাম্প, ওয়েব্রিজ এই সব পরিকাঠামো গড়ে উঠলে, তাঁরা ভীষণ উপকৃত হবেন বলে জানালেন। তবে দ্রুত এই কাজ শেষ করার দাবি করেছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন