Goutam Deb

Siliguri: সম্পত্তি নিয়ে মামলা, সরব শাসক আর বিরোধী শিবির

প্রথম মামলায় বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে নেতা-মন্ত্রীদের দেওয়া হলফনামায় উল্লিখিত সম্পত্তি পরবর্তী বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২২ ০৯:০৯
Share:

গৌতম দেব, মিহির গোস্বামী এবং মনোজ ওরাওঁ ।

প্রথমে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী, তার পরে বিরোধী দলের জন প্রতিনিধি। ভোটের হলফনামায় দাখিল করা তথ্যের উপরে ভিত্তিতে করা মামলা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী শিবিরে। দুই তালিকা আর মামলা মিলিয়ে আপাতত নাম উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের তিন জনের। হাই কোর্টে দাখিল করা মামলায় ১৯ জনের মধ্যে শাসকদলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের নাম এসেছিল। এ বার হাই কোর্টের আর একটি মামলায় নতুন করে বিরোধী দলের ১৭ জনের মধ্যে নাম জড়াল বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং মনোজ ওঁরাওয়ের।

Advertisement

প্রথম মামলায় বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে নেতা-মন্ত্রীদের দেওয়া হলফনামায় উল্লিখিত সম্পত্তি পরবর্তী বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের। ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায় আগেই যুক্ত ছিল আয়কর দফতর। এ বার ইডিকে মামলায় জুড়েছে হাই কোর্ট। দ্বিতীয় মামলায় নাম এসেছে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, মহম্মদ সেলিম প্রমুখের।

কোচবিহার থেকে কালিম্পং, শিলিগুড়ি থেকে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বা মালদহে শাসক বা বিরোধী দলের প্রাক্তন বা বর্তমান বহু জনপ্রতিনিধিই কোটিপতি ছিলেন বা আছেন বলে সূত্রের খবর। সবারই আয় বা সম্পত্তির হলফনামা নির্বাচন কমিশনের কাছে রয়েছে। তা নিয়ে মামলা এবং পাল্টা মামলা হতেই সরব রাজনৈতিক মহল। শিলিগুড়ির গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘পুরোটাই রাজনীতি। আমার সরকারি ভাতা, জমানো টাকা, পারিবারিক সম্পত্তি বছরে বছরে সুদে বাড়ছে। সে সবও দেখতে হবে।’’ কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ বলেন, “আলিপুরদুয়ার জেলায় গরু, মোষ ও বালি-পাথর পাচার নিয়ে গত জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তাই আমার নামে মামলা হয়েছে। যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’’ নাটাবাড়ির মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘আমার আয়কর ফাইল রয়েছে। তার বাইরে যদি এক বিন্দু সম্পত্তিও কেউ দেখাতে পারেন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব, বিধায়ক পদও ছেড়ে দেব।’’

Advertisement

মামলা কোন দিকে যাবে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু জন প্রতিনিধিদের সম্পত্তির হিসাবে নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অনেকেই মনে করছেন, তদন্ত জরুরি।

‘‘পুরোটাই রাজনীতি। আমার সরকারি ভাতা, জমানো টাকা, পারিবারিক সম্পত্তি সুদে বাড়ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন