প্রেমিকের সঙ্গে গোলমালের জের। তার ফলে নিজের দেড় বছরের কন্যাসন্তানকে ফেলে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে।
ওই মহিলাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি, তার প্রেমিককেও আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় বাসস্ট্যান্ডে। ধৃতদের বাড়ি হেমতাবাদ থানার দক্ষিণ হেমতাবাদ ও রায়গঞ্জের ভট্টদিঘি এলাকায়। ওই মহিলার প্রেমিক রায়গঞ্জের একটি হোটেলের ঠিকাকর্মী। মহিলার স্বামী দিল্লিতে দিনমজুরির কাজ করেন। তাদের দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় একবছর আগে ভট্টদিঘিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। যার ফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলার সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিবাদ শুরু হয়। এ দিন ওই মহিলা কন্যাসন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাসে করে রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় বাসস্ট্যান্ডে এসে নামেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের দেখা হয়। মহিলাকে তাঁ প্রেমিক কন্যাসন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসতে বলেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সেইসময় ওই মহিলা তাঁর কন্যাসন্তানকে বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। অন্যান্য যাত্রীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাঁদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু-সহ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
যদিও ধৃত মহিলার দাবি, তিনি কন্যাসন্তানকে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেননি। স্থানীয়রা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে তাঁর দাবি। ধৃত ব্যক্তি দাবি করেছেন, ‘‘মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এ দিন তাঁকে ফোন করে কন্যাসন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।’’ সেকারণেই, তিনি কন্যাসন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসতে বলেছিলেন। এ দিনই তাঁদের বিয়ে করার কথা ছিল। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘কেউ লিখিত অভিযোগ না করলে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা করবে।’’