গত ১৫ দিনে কালচিনি ব্লকের ৩টি চা বাগান থেকে ধরা পড়েছে ৭টি চিতাবাঘ। প্রায়ই চিতাবাঘ ধরা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে এলাকার চা বাগানগুলিতে। শুক্রবার সকালে কালচিনি চা বাগান ও রাতে আটিয়াবাড়ি চা বাগান থেকে ধরা পড়়ে দু’টি চিতাবাঘ।
প্রথমে রাজাভাত চা বাগান থেকে একটি চিতাবাঘ ধরা পড়ে। সেটি মানুষখেকো বলে অভিযোগ ওঠায় চিতাবাঘটিকে খয়েরবাড়ি রেসকিউ সেন্টারে পাঠানো হয়। এই নিয়ে গত ১২ দিনের মধ্যে চারটি চিতাবাঘ ধরা পড়ল। আটিয়াবাড়ি চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার নিত্যানন্দ মাহাত বলেন, ‘‘বন দফতর চিতাবাঘগুলিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছেড়ে দিলেও ফের চিতাবাঘগুলি চা বাগানে চলে আসছে বলে মনে হচ্ছে।’’ এর ফলে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হওয়ায় কাজে প্রভাব পড়ছে বলে
জানান তিনি।
চা বাগানে আগে চিতাবাঘের উপদ্রব থাকলেও সম্প্রতি তা বেড়ে গিয়েছে বলে জানান চা বাগানের মালিক সংগঠন ডিবিআইটিএর পক্ষে সুমন্ত গুহঠাকুরতা। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন চা বাগান থেকে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। আমরা বনদফতরের সঙ্গে
আলোচনায় বসব।”
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনও। তিনি বলেন, “চা বাগানে চিতাবাঘ বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য যায়। চিতাবাঘের আনাগোনা বেড়েছে বলে শুনেছি।’’ চা বাগানগুলিতে খাঁচা পাতার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চিতাবাঘের আনাগোনা বৃদ্ধির পিছনে জঙ্গল কমে যাওয়াকে কারণ বিসেবে বলেছেন পরিবেশ প্রেমী সংগঠন নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘চিতাবাঘের খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙে পড়ছে। ফলে সহজলভ্য গবাদি পশু ও সারময়ের খোঁজে তারা বাগানেই আশ্রয় নিচ্ছে।’’