অনুপস্থিত ২ শিক্ষক, প্রশ্ন

প্রশাসনের তরফেই কি তাঁদের স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছে বা রেজিস্ট্রেশনের কাজে পাঠানো হয়েছে? মহকুমাশাসক তথা স্কুলের প্রশাসক মণীশ মিশ্র বলেন, ‘‘এই ধরণের কোনও নির্দেশ নেই। যাঁরা স্কুলে আসছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২১
Share:

দাড়িভিট হাইস্কুল।—ফাইল চিত্র।

স্কুল খুললেও স্কুলে দেখা মিলছে না দুই শিক্ষক ও এক করণিকের। দাড়িভিট হাইস্কুলের ওই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কেন স্কুলে আসছেন না তা নিয়েই গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে তাঁদের একাংশ জানান, তাঁরা মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত। কিন্তু কেন বা কে তাঁদের পাঠিয়েছেনস সে-ব্যাপারে মহকুমাশাসক তথা স্কুলের প্রশাসক জানেনই না। ফলে বিষয়টি নিয়ে আরও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসনের তরফেই কি তাঁদের স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছে বা রেজিস্ট্রেশনের কাজে পাঠানো হয়েছে? মহকুমাশাসক তথা স্কুলের প্রশাসক মণীশ মিশ্র বলেন, ‘‘এই ধরণের কোনও নির্দেশ নেই। যাঁরা স্কুলে আসছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

স্কুল সূত্রের খবর, দাড়িভিট-কাণ্ডের পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, স্কুলের আরও দুই শিক্ষক এবং এক করণিকের বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল।

Advertisement

এমনকী, নিহত ছাত্র রাজেশের বোনের করা লিখিত অভিযোগে তাঁদের নামও রয়েছে। স্কুল খোলার আগেই সাসপেন্ড করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু, সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদাকে।

কিন্তু স্কুল খোলার দিন থেকেই নজরে পড়েনি স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক সুদীপ্ত সিংহ, রাষ্ট্রবিঞ্জান শিক্ষক আসারুল হক ও করণিক আশিক ইকবালকে। তবে স্কুল খোলার আগে কয়েকবার তাঁদের এলাকায় দেখা গিয়েছিল বলে বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের উপর বাসিন্দাদের

ক্ষোভও ছিল।

কেন তাঁরা স্কুলে যাচ্ছেন না সেই বিষয়ে স্কুলের বাকি শিক্ষক শিক্ষিকারাও অন্ধকারে বলে জানিয়েছেন। আসারুলকে ফোন করা হলে তার ফোন বেজেই গিয়েছে। অঙ্কের সুদীপ্তবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা তিনজনই ক্যাম্প অফিসে রেজেস্ট্রশন সংক্রান্ত কাজ করছি। যা বলার থাকলে মহকুমাশাসকই জানাবেন।’’ কোন অফিসে রয়েছেন সেই সংক্রান্ত কিছুই জানাতে চাননি তিনি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও মন্তব্য এখন করব না।’’

গত, ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় দাড়িভিট স্কুল। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয় স্কুলের দুই প্রাক্তনীর। আহত হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রও। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ ছিল স্কুল। গত ১০ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষ ভাবেই স্কুল খুলতে চাবি তুলে দেয় নিহত দুই তরুণের পরিবারের লোকেরা। ১২ নভেম্বূর থেকে ক্লাসও শুরু হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন