পুজোয় সামনে আসবে কিকা ও রিকা

বেঙ্গল সাফারিরই বাসিন্দা শীলা ও স্নেহাশিসের সন্তান এই দু’টি। শীলার তিনটি শাবক হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি শাবকের নাম দেন ইকা, কিকা, রিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০০
Share:

তখন দু’টিই শাবক। —নিজস্ব চিত্র

দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল রিকা এবং কিকা। বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রবিবারই ১৫ মাস বয়স পূর্ণ করেছে তারা। এ বার দর্শকদের জন্য তাদের প্রকাশ্যে আনার কথা জানিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। পুজোর সময়েই স্নেহাশিস ও বিভানকে রিজার্ভে রেখে কিকা ও রিকাকে দর্শকদের জন্য সামনে আনার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের দর্শকের জন্য ছাড়া হবে।

Advertisement

বেঙ্গল সাফারিরই বাসিন্দা শীলা ও স্নেহাশিসের সন্তান এই দু’টি। শীলার তিনটি শাবক হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি শাবকের নাম দেন ইকা, কিকা, রিকা। এরমধ্যে ইকা গতবছর সংক্রমণে মারা গিয়েছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ধর্মদেব রায় বলেন, ‘‘এই বয়েস থেকেই কিকা ও রিকাকে এনক্লোজারে ছাড়া যেতে পারে। সপ্তাহে যেদিন বেঙ্গল সাফারি বন্ধ থাকে, আমরা ওদের এনক্লোজারে ছেড়ে সাফারির গাড়ি ভিতরে চালিয়ে দেখেছি, কোনও অস্বাভাবিক আচরণ তারা করছে না।’’ পুজোর সময় ভিড় বেশি থাকে বেঙ্গল সাফারিতে। সেই সময়ই নতুন আকর্ষণ হিসেবে ওই দু’টিকে সামনে আনার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সাফারির কর্তারা।

শীলা এবং স্নেহাশিসকে নন্দনকানন থেকে কলকাতা চিড়িয়াখানা হয়ে বেঙ্গল সাফারিতে আনা হয়েছিল ২০১৬ সালে। এখানেই রিকা, কিকা এবং ইকার জন্ম। গতবছর পায়ের সংক্রমণ থেকে সবচেয়ে ছোট শাবক ইকা মারা যাওয়ার পরে রিকা ও কিকাকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। তাদের স্বাস্থ্য পুরোপুরি ঠিক বলে জানাচ্ছেন সাফারি পার্কের কর্তারা। তাঁরা জানান, আপাতত শীলার সঙ্গেই ওই দু’জনকে এনক্লোজারে দর্শকদের সামনে ছাড়া হবে।

Advertisement

এখন সাফারিতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে ৫টি। এরমধ্যে আড়াই বছরের স্নেহাশিসকে ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের জন্য কলকাতা চিড়িয়াখানায় পাঠানোর কথা। চলতি বছর জানুয়ারিতে সাফারি পার্কের এনক্লোজারের বেড়া ডিঙিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল চিতাবাঘ সচিন। পাঁচদিন পরে সে নিজেই এনক্লোজারে ফেরে। তারপর থেকে সাফারি পার্কে সচিনের বদলে অন্য দু’টি চিতাবাঘ জুটিকে নামানো হয়েছিল। আপাতত সাফারিতে কোনও এনক্লোজারের গা ঘেঁষে কোনও বড় গাছ রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন