তুবড়ি ফেটে জখম দুই নাবালক

রাত ৮টা থেকে  আতসবাজি পোড়ানো বাড়তে থাকায় দুষণ বেড়ে যায়। কুয়াশা পড়তে থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। আতসবাজির ধোঁয়া কুয়াশার চাপে মাটির খুব কাছাকাছি জমাট হয়ে থাকতে দেখা যায় চকভৃগু থেকে সাহেবকাছারি এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৫৩
Share:

ধোঁয়াশা: (বাঁ দিকে) কুয়াশা নয়, পটকার ধোঁয়ায় ঢাকল বালুরঘাট।

শব্দাসুরকে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঠেকানো গেল না আতসবাজির দূষণ। চড়কি, তুবড়ি, তারাবাতি, রংমশালের ধোঁয়ায় সন্ধের পর থেকে বালুরঘাটের একাধিক এলাকা ভরে যায়। রবিবার দীপাবলির রাতে তুবড়ি ফেটে বুনিয়াদপুর এলাকার সাড়ে তিন বছরের শিশু অভিজিৎ পাল ও বছর এগারোর সন্দীপ মণ্ডল এবং দুই বয়স্ক ব্যক্তি জখম হন। তাঁদের রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তুবড়ির বারুদ ছিটকে সন্দীপের চোখ জখম হয়েছে, হাতে লেগেছে অভিজিতের। দু’জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাজি ফাটাতে গিয়ে দীপাবলির রাতে জেলা জুড়ে অন্তত ন’জন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হয়।

Advertisement

রাত ৮টা থেকে আতসবাজি পোড়ানো বাড়তে থাকায় দুষণ বেড়ে যায়। কুয়াশা পড়তে থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। আতসবাজির ধোঁয়া কুয়াশার চাপে মাটির খুব কাছাকাছি জমাট হয়ে থাকতে দেখা যায় চকভৃগু থেকে সাহেবকাছারি এলাকায়। ধোঁয়াশার দূষণ যে কী মাত্রায় এ দিন পৌঁছেছিল, তা বোঝা যায়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে কম ধোঁয়ার আতসবাজি বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ও সব নির্দেশ বা নিয়ম মানার কোনও বালাই নেই, প্রশাসনিক পদক্ষেপও নেই বলে অভিযোগ। বায়ু দূষণ মাপার কোনও যন্ত্রও নেই বালুরঘটের প্রশাসনের কাছে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, আতসবাজির ধোঁয়ায় কাশি শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের রোগী ও ধূমপায়ীদেরও সমস্যা বাড়ে। ফুসফুসের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। সন্ধের পর থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। তার সঙ্গে বাজির ধোঁয়া মিশে বায়ু দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। অক্সিজেন কমে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বয়স্ক ও শিশুরা শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। হাসপাতালেও বেশ কয়েকজন রোগী রবিবার রাতে বাজির ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান। তবু সোমবারেও বালুরঘাটে দেদার আতসবাজি ফাটতে দেখা যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন