মালদহ বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিনিধিদল। নিজস্ব চিত্র।
মালদহ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ নিয়ে তরজায় জড়াল শাসক এবং বিরোধী দল। বিজেপি-র দাবি, এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাই অভাব রয়েছে। তবে এ নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
সোমবার মালদহ বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিনিধিদল। বিমানবন্দরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তারা। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, মালদহ বিমানবন্দরে যে রানওয়ে রয়েছে তাতে ১৯ আসনবিশিষ্ট বিমান অবতরণ করতে পারে। তবে ৯০ আসনবিশিষ্ট বিমান অবতরণের জন্য রানওয়ের সম্প্রসারণ জরুরি। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের পাশে বিভিন্ন সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণও করা প্রয়োজন। সম্প্রতি জেলা সফরে মালদহ শহরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে এই বিমানবন্দর নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি দ্রুত চালু করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে সম্প্রসারণ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপি-র মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমাদের সাংসদ খগেন মুর্মু এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার বার দরবার করেছেন। সঠিক বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য যে জমির প্রয়োজন, তা অধিগ্রহণ করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। রাজ্যের সদিচ্ছার অভাবে এখনও এই বিমানবন্দর চালু হয়নি।’’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের মালদহ জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘পূর্ত দফতরের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা এটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিমানবন্দর চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন, তখন শীঘ্রই তা চালু হবে।’’