ডিএসসি-ডিলিট কারা, সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাদিবস। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন উত্সবের আয়োজন হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৮
Share:

কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। —ফাইল চিত্র

প্রথম সমাবর্তন উত্সবে দীক্ষান্ত ভাষণ কে দেবেন, কাদের ডিএসসি ও ডিলিট সম্মান দেওয়া হবে, তা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রাজ্যপাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদে রয়েছেন। সমাবর্তনে বিভিন্ন সূচি চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল, কোট ও ফিনান্স কমিটির বৈঠক হয়। এ পরে উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উত্সবে কে দীক্ষান্ত ভাষণ দেবেন ও কাদের ডিএসসি এবং ডিলিট দেওয়া হবে তা রাজ্যপালই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঠিক হয়েছে। এ দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজ্যপালের দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছিল। রাজ্যপাল কলকাতার বাইরে রয়েছেন। আগামী ১৮ জানুয়ারি তিনি রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন। সেখানেই ঠিক হবে, সমাবর্তনে কে দীক্ষান্ত ভাষণ দেবেন, কাদের ডিএসসি ও ডিলিট দেওয়া হবে।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাদিবস। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন উত্সবের আয়োজন হয়েছে। রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকারের দাবি, সমাবর্তন উত্সবে হাজির থাকার সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকবেন বলে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন।

Advertisement

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয় রাজ্য। একমাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রথম সমাবর্তন উত্সবের জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান। ৯ জানুয়ারি সমাবর্তন উত্সবের অনুমতি মেলে।

উপাচার্যের দাবি, প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে সমাবর্তনের অনুমতি পেয়ে আমরা গর্বিত। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজন করে বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ডিএসসি ও ডিলিট সম্মান দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, গত তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ মিলিয়ে ২১টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছেন। সমাবর্তনে কৃতি ৯৪ জনের হাতে রাজ্যপাল পদক ও শংসাপত্র তুলে দেবেন। গত তিন বছরে ১৭টি বিষয়ে গবেষণা (পিএইচডি) করে ১০ জন পড়ুয়া সফল হয়েছেন। তাঁদেরও রাজ্যপাল সম্মান জানাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠে সমাবর্তন উত্সবের মঞ্চ তৈরি হবে। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পড়ুয়ারা সমাবর্তন পদযাত্রা করবেন। তার পরেই অনুষ্ঠানের সূচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন