ভেসে রয়েছে মোহনের দেহ, বাস্তুতন্ত্র নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার বানেশ্বর শিব দীঘিতে। নিজস্ব চিত্র।
বাণেশ্বরের শিবদিঘিতে উদ্ধার মৃত ‘মোহনের’ (ব্ল্যাক সফ্ট শেল টার্টল প্রজাতির কচ্ছপ) দেহের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠান হল। প্রশাসন ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই দিঘিতে একটি ‘মোহনের’ দেহ ভেসে থাকার খবর মিলতেই খোঁজখবর শুরু হয়। বনকর্মীরা মোহনের দেহ উদ্ধার করেন। ওই ‘মোহনের’ মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতেই ময়না-তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অবশ্য শুক্রবারেও মেলেনি। তবে মৃত ‘মোহনের’ ভিসেরা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। মহকুমাশাসক (কোচবিহার সদর) কুণাল বন্দোপাধ্যায় বলেন,“জেলার বন দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ওই ‘মোহনের’ ভিসেরা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠান হয়েছে।” কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।”
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না-তদন্তের সময়েই মৃত ‘মোহনের’ ভিসেরা পরীক্ষার জন্য দেহাংশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কলকাতার বেলগাছিয়ার একটি ল্যাবরেটরিতে তা পাঠান হয়েছে।
কোচবিহারের বাণেশ্বরের শিবদিঘি-সহ একাধিক জলাশয়ে প্রচুর ‘মোহন’ রয়েছে। বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা কচ্ছপ। এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই তাদের দেবতাজ্ঞানে পুজো করেন। অভিযোগ, গত এক মাসে সড়ক পারাপারের সময়ে যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে, অসুস্থতা-সহ নানা কারণে বেশ কিছু ‘মোহনের’ মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্প্রতি এলাকায় ছ’ঘণ্টা ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছিল ‘মোহন সুরক্ষা কমিটি’। কমিটি সূত্রে দাবি, টেলিফোনে নবান্নের তরফে এক প্রতিনিধি দল পরিস্থিতি দেখতে এলাকায় আসার আশ্বাস দেওয়ার পরেই সে দিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কমিটির সভাপতি পরিমল বর্মণ বলেন, “মোহন রক্ষায় পদক্ষেপ দরকার।”