মজুরির টাকা অমিল, নালিশ

সপ্তাহের শেষ দিনেও বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি না হওয়ায় প্রশাসন ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলছে বাগান মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১৮
Share:

সপ্তাহের শেষ দিনেও বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি না হওয়ায় প্রশাসন ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলছে বাগান মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন৷ তাদের কেউ কেউ যেমন ব্যাঙ্কের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট, তেমনি কেউ কেউ প্রশাসনের দিক থেকে সমন্বয়ের অভাবকেও দায়ী করছে৷ তবে কিছু চা বাগানে শ্রমিকরা এক পক্ষকালের মজুরি পান৷

Advertisement

বাগানগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা দিন কয়েক আগেই জেলায় এসেছে৷ গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বাগান মালিকদের সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কর্তারা৷ সেখানেই ঠিক হয়, শুক্রবারের মধ্যেই জেলার সিংহভাগ বাগান ব্যাঙ্ক থেকে শ্রমিকদের মজুরির টাকা তুলতে পারবে৷ অভিযোগ, তারপরও ব্যাঙ্কে গিয়ে অনেক বাগান কর্তৃপক্ষকেই খালি হাতে ফিরতে হয়৷

ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুমন্ত গুহ ঠাকুরতা জানান, জলপাইগুড়িতে তাদের সংগঠনের অধীন প্রায় পনেরোটি বাগান এখনও শ্রমিকদের মজুরির টাকা ব্যাঙ্ক থেকে পাননি৷ তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনিক বৈঠকে কিছু ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা বাগানগুলিকে মজুরির টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানালেও বাস্তবে তা হয়নি৷ তাই শনিবারও অনেক বাগানে শ্রমিকরা মজুরি পাননি৷ টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক রাম অবতার শর্মা বলেন, ‘‘যে সব বাগান এখনও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা পায়নি, তারা যাতে সোমবার যে কোন উপায়ে তা পেয়ে সে ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলছি৷’’ সিটুর জেলা সম্পাদক জিয়াউল আলম অবশ্য গোটা পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দায়ি করেছেন৷ তার কথায়, গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে প্রশাসনের যে সমন্বয় রাখা প্রয়োজন ছিল তা হয়নি৷ পাশাপাশি জেলার ব্যাঙ্কগুলি যাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর্যাপ্ত টাকা পায় সে ব্যাপারেও প্রশাসন কোনও ভূমিকা নেয়নি৷ তাই এই পরিস্থিতি৷

Advertisement

এরই মধ্যে শুক্রবার জেলার যেসব বাগান ব্যাঙ্ক থেকে অর্থ তুলতে পেরেছে তাঁরা এ দিন শ্রমিকদের এক পক্ষকালের মজুরি প্রদান করে৷ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, জেলার অনেক বাগানই ব্যাঙ্ক থেকে মজুরির টাকা তুলতে পেরেছে৷ যেসব বাগান এখনো পারেনি তারাও যাতে দ্রুত তা তুলতে পারে সেই চেষ্টা চলছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন