জন বার্লা (বাঁ দিকে) ও মোহন শর্মা। —ফাইল চিত্র
বাস মালিকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আগেই। পথে বাধা তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। তারপরেও জেলা থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার কর্মীকে প্রধানমন্ত্রীর ময়নাগুড়ির সভায় নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। দলের চা শ্রমিক আন্দোলনের নেতা জন বার্লার দাবি, ‘‘জেলার চা বলয় থেকেই এত মানুষ ময়নাগুড়ির জনসভায় যাবেন যে, শুক্রবার বিভিন্ন চা বাগানে কাজের পরিস্থিতি থাকবে না।’’ যার উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নেতারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য একটি বাগানেও কাজ বন্ধ থাকলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনে চা বলয় অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটে তৃণমূলকে প্রথম ধাক্কা দেয় বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও চা বলয়ের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকে বেগ দিতে সমর্থ হন বিজেপি নেতারা। কিন্তু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন শুরু হতেই বিজেপিকে পাল্টা বেগ দিয়ে, তাদের জেতা একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নেয় তৃণমূল। তারপরও লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারকে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বলেই দাবি করছে বিজেপি।
বিজেপির অন্দরেরই খবর, এলাকায় দলের শক্তি বাড়াতে ডিসেম্বরে কোচবিহারের প্রস্তাবিত রথযাত্রায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের জনসভাকেই বেছে নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু রথযাত্রাও ভেস্তে যায়, অমিতের সভাও হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাই এখন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতাদের পাখির চোখ। সে জন্য প্রথম থেকেই এই সভায় আলিপুরদুয়ার থেকে যত বেশি সম্ভব লোক নিয়ে যেতে মরিয়া ছিলেন বিজেপির জেলা নেতারা।
কিন্তু বুধবার দুপুরেও অনেক মণ্ডল থেকে লোক পাঠানোর হিসেব জেলা পার্টি অফিসে পৌঁছয়নি। তাই লক্ষ্য কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ে যায় অনেক নেতারই। সেই সঙ্গে অভিযোগ আসতে থাকে, বাস মালিকদের অনেকেই গাড়ি দিতে অস্বীকার করছেন। তবে বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, বাধা সত্ত্বেও মোদীর সভায় যাবেন বহু মানুষ। জন বার্লা বলেন, ‘‘চা বাগানগুলো থেকে তো বটেই, তৃণমূলের হুমকি হুপেক্ষা করে জেলার অন্য জায়গা থেকেও দলে দলে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাবেন।’’ তৃণমূলের মোহন শর্মা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে বাজেটে চা বাগানের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ করেননি, তা শ্রমিকরা সবাই জানেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কেউ যাবেন না।