আরও তিন-চার দিন ডুয়ার্সে এমনই অঝোর বৃষ্টির পূর্বাভাস

ছাপিয়ে পাড় নদী ঢুকছে বসতিতে

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। বৃষ্টির জেরে তিতি, বাঙরি ও হাউরি নদীতে জল বেড়ে যাওয়া এ দিন সকাল মাদারিহাটের সঙ্গে টোটোপাড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০২:৪১
Share:

আশঙ্কা: আলিপুরদুয়ারে নদী চরের বাসিন্দারা অস্থায়ী আস্তানা বানাচ্ছেন বাঁধে। ছবি: নারায়ণ েদ

নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান পাল্টে উত্তরের কাছে আসতেই নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে তিন জেলায়। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের সব নদীতেই জল বাড়ছে। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মানসাই নদীতে জল বাড়ছে বহু হু করে। প্রবল বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টোটোপাড়া। তিস্তার জল বাড়ায় বিচ্ছিন্ন মেখলিগঞ্জের কিছু গ্রামও। আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস, আগামী তিন থেকে চার দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলতে পারে। নিম্নচাপ অক্ষরেখা সরে হিমালয়ের পাদদেশ এলাকাতে চলে আসাতেই নাগাড়ে বৃষ্টি চলেছে বলে আবহাওয়া দফতরের দাবি।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। বৃষ্টির জেরে তিতি, বাঙরি ও হাউরি নদীতে জল বেড়ে যাওয়া এ দিন সকাল মাদারিহাটের সঙ্গে টোটোপাড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জল জমে বারোবিশা চৌপথী সংলগ্ন এলাকাতেও। মঙ্গলবার রাত থেকেই জোর বৃষ্টি শুরু হয় আলিপুরদুয়ারে। রাত গড়িয়ে বুধবার দিনভর তা জারি থাকে। জেলার প্রায় সব বড় ও ছোট নদীর জল বেড়েছে। ঘিস, চেল, জলঢাকাও কূল ছাপিয়ে বইছে।

হলদিবাড়ি ব্লকের খাল, পুকুর নালা সব টইটম্বুর। তিস্তা নদীতেও জল বেড়ে চরের বসতি এলাকায় ঢুকেছে। যাতায়াত করতে ব্যবহার করছে কলা গাছ দিয়ে বানানো ভেলা। জল জমেছে পাট এবং বিভিন্ন আনাজ খেতে। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মেখলিগঞ্জের জন জীবনও। পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমেছে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সরকার পাড়া, ওঁরাও পাড়া এবং নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৭০ নিজতরফ এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টিতে তিস্তার জল বাড়ায় সমস্যায় পড়েছেন তিস্তা দিয়ে মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির মধ্যে যাতায়াতকারীরা।

Advertisement

এ দিকে, জলপাইগুড়ি শহর এবং মালবাজারে টানা ১২ ঘন্টা ধরে বৃষ্টি চলেছে। গজলডোবা-শিলিগুড়ি পূর্ত সড়কে আন্ধাঝোরা নদীর জল গার্ড ওয়াল ভেঙে মাটি ধসিয়ে দেওয়ায় রাস্তা ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন