টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিল মালদহে তৃণমূলের সংখ্যালঘু শাখা। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিল মালদহে তৃণমূলের সংখ্যালঘু শাখা। বুধবার জেলার ৫৬ সদস্যের ওই কমিটি বৈঠকে বসে ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। পাশাপাশিই, কমিটির সদস্যেরা জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন না। শুধু তা-ই নয়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার যাত্রা’কে ‘আইওয়াশ’ বলেও কটাক্ষ করেছেন সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি মোসারফ হোসেন।
সংখ্যালঘু শাখার অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হয়েছে। জেলার চেয়ারম্যান, সভাপতি এবং বিধায়কেরা টাকা নিয়েছেন। মালদহ জেলা পরিষদে ৪৩টি আসন, ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৬টি আসন এবং ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১৮৬টি আসন রয়েছে। কিন্তু কোনও আসনেই সংখ্যালঘু শাখার কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। মোসারফ বলেন, ‘‘দলের পদে থেকেও প্রার্থিতালিকা নিয়ে অন্ধকারে ছিলাম আমি। আমাদের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল। আমরা দিয়েওছি। কিন্তু তাঁরা কেউ প্রার্থী হতে পারেননি।’’
চাকরি চুরির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও টিকিট পেয়েছেন বলে অভিযোগ সংখ্যালঘু শাখার। মোসারফের দাবি, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে গোপন ব্যালটে নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তার পরেও নাম নেই। পুরোটাই আইওয়াশ।’’ সহ-সভাপতি আনহারুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা নেতৃত্ব এর ফল বুঝতে পারবে!’’ তবে সংখ্যালঘু শাখার নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ভোটে দলের কাজ না করলেও তাঁরা তৃণমূলেরই থাকবেন।
যদিও এই ইস্তফায় বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। মালদহ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সী বলেন, ‘‘দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। সংখ্যালঘু শাখার নেতৃত্ব দলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। প্রকৃত দল যাঁরা করেন, তাঁরা এই ধরনের কাজ করেন না। এটাই প্রমাণিত।’’