প্রাথমিক স্কুলে ‘প্রবীণ শিক্ষক’ পদের দাবি তুলল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
রবিবার ডালখোলায় ব্রিগেড প্রস্তুতি নিয়ে এক সভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের বক্তব্য, স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ থাকলেও সহকারী শিক্ষকদের জন্য পদোন্নতির কোনও সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, শিক্ষকদের জন্য ‘প্রবীণ শিক্ষক’ পদ হিসেবে তৈরি করা হোক। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এটা পূরণ হবে। আর এতে প্রবীণ শিক্ষকদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।’’
এ দিন টাউন হলে এই সমাবেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য বেতন কমিশনের দাবিও তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যা সমাধান করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীই। তাঁরা ছাড়া আর কারও ক্ষমতা নেই। রাজ্য সভাপতি আরও জানান, বাম জমানায় শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যার সমাধান হত না। অবসরের পরে পেনশন পেতে সরকারি অফিসে দিনের পর দিন ঘুরতে হত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর অবসরের আগেই পেনশনের কাগজপত্র তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ দিন এর পাশাপাশি জেলার শিক্ষক সংগঠনকে ঢেলে সাজার নির্দেশ দেন জেলা কমিটিকে। সংগঠনে কোনও বিরোধ এবং দ্বিধা রাখা যাবে না বলে তিনি জানিয়ে দেন। সার্কেল ইউনিটগুলিকে সাজিয়ে তোলারও নির্দেশ দেন অশোক।
এ দিনের সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ, ডালখোলা পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান সুভাষ গোস্বামী, জেলা প্রাথমিক সংগঠনের সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম পাল।
আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সভায় সংগঠনের প্রতিটি কর্মী-শিক্ষককে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান অশোক।