বধূকে কুয়োয় ফেলে খুন, গ্রেফতার স্বামী

এক গৃহবধূকে কুয়োয় ফেলে মারার অভিযোগে গ্রেফতার হল স্বামী। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একতিয়াশালের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৬ ০২:২৪
Share:

এক গৃহবধূকে কুয়োয় ফেলে মারার অভিযোগে গ্রেফতার হল স্বামী। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একতিয়াশালের ঘটনা। বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতে মৃতার স্বামী রাজু দাসকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মুন্নি দাস(২১)। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি পূর্ব পিনাকী মজুমদার বলেন, ‘‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

এদিন দুপুরে হঠাৎই ওই বধূ শ্বশুরবাড়ির কুয়োতে পড়ে গিয়েছেন বলে একটি বাচ্চা মেয়ে চীৎকার করে ওঠে। আসপাশ থেকে লোকজন ছুটে এসে মুন্নিদেবীকে দড়ি বেঁধে কুয়ো থেকে ওঠান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কুয়োর পড়ে যাওয়ার সময় তাঁর এক বছরের ছেলে কাছেই বারান্দায় বসে ছিল।

স্বামী রাজু দাসের দাবি, তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাই কী হয়েছে জানেন না। সম্ভবত জল তুলতে গিয়ে পড়ে যেতে পারেন। রাজুর দিদা কল্পনাদেবীও সকলের সামনে নাতবৌয়ের প্রশংসা করেন। যদিও মুন্নিদেবীর বাপের বাড়ির লোকেরা তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। বিকেলে ভক্তিনগর থানায় একটি খুনের অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। মৃতার বোন অনিতা রায়ের রবিবারে বিয়ে। তাঁরা দাবি, ‘‘দিদি আত্মহত্যা করতে পারে না। তাছাড়া আমার বিয়ের মুখে এমন ঘটনা ওঁর পক্ষে সম্ভব নয়।’’ এমনকী বৃহস্পতিবারই বিয়ে উপলক্ষে মুন্নিদেবীকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছাড়েননি বলেও জানান তাঁরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রাজুর সঙ্গে মুন্নির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মাঝে অন্তসত্বা হয়ে পড়েন মুন্নিদেবী। তাতে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে রাজু। মুন্নিদেবীর বাড়ি থেকে থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাজু দাস মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে বিয়েতে রাজি হয়। এরপরে বিয়ে হলেও মাজে মধ্যেই ঝামেলা লেগে থাকত বলে জানা গিয়েছে। এলাকার কাউন্সিলর সত্যজিত অধিকারীও মনে করেন মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি দেখুক। যদি তদন্তে খুন বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন