প্রতীকী চিত্র।
পণের দাবিতে দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বধূকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে৷ ভক্তিনগর থানার মিলনপল্লি এলাকায় এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে৷
মৃত ওই বধূর নাম জ্যোৎস্না নমদাস (২৫)৷ ২০১৩ সালে মিলনপল্লির বাসিন্দা বাবুল নমদাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর৷ একটি আড়াই বছরের ছেলেও রয়েছে তাঁদের৷
জ্যোৎস্নার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের সময় পণ হিসাবে নগদ ২৫ হাজার টাকা ছাড়াও সোনার গয়না ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়৷ তারপরও তার ওপর অত্যাচার চালাত স্বামী, শাশুড়ি ও ননদরা৷ এরই মধ্যে ফের গর্ভবতী হয়ে পড়েন জ্যোৎস্নাদেবী৷ তাঁর ভাই বিশ্বনাথ বাড়ুই এর অভিযোগ, তাঁর বোনকে সব সময় টাকার জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷ চাপে পড়ে প্রায়ই বাড়ি থেকে পাঁচ-দশ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন জ্যোৎস্নাদেবী৷ বুধবার রাত ন’টা নাগাদ ফোন করেও মায়ের কাছে কিছু টাকা চায়। তিনি বলেন, ‘‘রাত এগারোটা নাগাদ বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফের ফোন আসে৷ আমাদের দ্রুত সেখানে যেতে বলা হয়৷ এরপর এক প্রতিবেশী ফোন করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে যেতে বলেন৷ আমরা পৌঁছোনোর দশ মিনিট বাদে বোনকে আনা হয়৷ ’’
হাসপাতাল চত্বরেই বধূর স্বামী ও এক প্রতিবেশীকে মারধর শুরু করেন তাঁর বাড়ির লোকজন৷ খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ওই দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়৷ গৃহবধূর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিষ খাইয়ে ওই বধূকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা৷ এ দিন মিলনপল্লি ফাঁড়িতে স্বামী, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামী ছাড়াও এক প্রতিবেশীর নামেও অভিযোগ হয়৷ জলপাইগুড়ির এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়েরের পর এ দিন রাতেই মিলনপল্লী থানার পুলিশ আটক দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে৷