পণের দাবিতে বধূ খুন, নালিশ

এ দিন অন্তরা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভকুয়া এলাকার একটি পুকুরে ওই বধূর দেহ ভেসে উঠতে দেখে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পণ না পাওয়ায় বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল পঞ্চায়েতের অন্তরা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মমতা খাতুন (৩৫)। তাঁর বাপের বাড়ি অন্তরা এলাকায়। শ্বশুরবাড়ি রায়গঞ্জের পিরোজপুর এলাকায়।

Advertisement

এ দিন অন্তরা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভকুয়া এলাকার একটি পুকুরে ওই বধূর দেহ ভেসে উঠতে দেখে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করেছে। এ দিন দুপুরে মৃতার পরিবারের লোকেরা কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে মমতার স্বামী, তিন দেওর, শাশুড়ি ও দুই জায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আশিস কুণ্ডুর দাবি, ‘‘অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।’’

২০০১ সালে মমতার সঙ্গে পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি মহিমুদ্দিন শেখের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মমতার দাদা গোলাম রব্বানির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাপের বাড়ি থেকে কখনও ১০ হাজার আবার কখনও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য মমতার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। মমতা বাপের বাড়ি থেকে চাহিদামতো টাকা আনতে ব্যর্থ হলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে নিয়মিত মারধর করতেন। বাসিন্দারা জানান, কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার দাবিতে মমতাকে খলসি হাটে প্রকাশ্যে মারধর করে জখম অবস্থায় ফেলে যান।

Advertisement

অভিযোগ, ২৬ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফের বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার দাবিতে মমতার উপর শারীরিক নির্যাতন চালান। গোলাম বলেন, ‘‘ওইদিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বোন বাড়ি থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর থেকে আর ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’’ তাঁদের অভিযোগ, ফের পণের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তাঁদের সন্দেহ, প্রমাণ লোপাট করতে মৃতদেহটি শ্বশুরবাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ওই পুকুরে ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

বাসিন্দারাই তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বলেন, ‘‘সংসার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় এতদিন মমতার বাপের বাড়ির লোকেরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। সেটাই বড় ভুল হয়েছে।’’ মহিমুদ্দিনের দাবি, স্ত্রীর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তিনি জানেন না। তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন