বুনো হাতির নিত্য আসা যাওয়া

প্রতিরাতেই হাজির হচ্ছেন তিনি। চালের লোভে ঘর ভাঙছেন। বন দফতর বলছে, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদিও, তাতে কাজের কাজ হয়নি। লাটাগুড়ি এলাকায় গত তিন দিন ধরেই বুনো হাতির নিত্য আসা যাওয়া শুরু হয়েছে। তিন দিন আগে আগে সরস্বতী বনবস্তির স্কুল এবং আইসিডিএস কেন্দ্রের ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৬ ০১:২৯
Share:

শনিবার দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি।

প্রতিরাতেই হাজির হচ্ছেন তিনি। চালের লোভে ঘর ভাঙছেন। বন দফতর বলছে, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদিও, তাতে কাজের কাজ হয়নি। লাটাগুড়ি এলাকায় গত তিন দিন ধরেই বুনো হাতির নিত্য আসা যাওয়া শুরু হয়েছে। তিন দিন আগে আগে সরস্বতী বনবস্তির স্কুল এবং আইসিডিএস কেন্দ্রের ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি। ঘরে থাকা মিড-ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে প্রোটিন পাউডার, সবই সাবাড় করে। পরদিন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। ফের শুক্রবার রাতে গরুমারা বিচাভাঙ্গা রেঞ্জ-এর কাছে বিচাভাঙ্গা বনবস্তিতে হানা দেয় মাকনা হাতিটি। সে সময় বাসিন্দারা পচকা ফাটিয়ে, মশাল জ্বালিয়ে হাতিটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন বলে দাবি। এরপর ফের রাত বারোটা নাগাদ লাগোয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে হাতিটি। গরুমারা জঙ্গলের গাইড ধীরেন কোরার বাড়ির বাঁশবাগানে ঢুকে হাতিটি তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। রাতভর গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় হাতিটি ঘুরে ভোর চারটে নাগাদ বিচাভাঙ্গা বনবস্তির স্কুলে মিড-ডে মিলের চালের খোঁজে দেওয়াল ভেঙে ফেলে। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী দুই বিভাগের ডিএফও উমারানি এন বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। রেঞ্জ অফিসারকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিতে বলা হয়েছে। হাতির গতিবিধির ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলটিকে আবার তৈরি করে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন