উত্তুরে হাওয়ায় ফিরল শীত

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভোরের দিকে তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি। তবে বিকেলের পরে তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি নেমে যায়। সেই সঙ্গে এ দিন দিনভরই ছিল উত্তরের হাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৯
Share:

গরম জামা কেনা হচ্ছে মালদহে। নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকেই ছিল শীতের হাওয়া। তারপরে জানা গেল, সোমবার ছিল মরসুমের সব থেকে শীতলতম দিন।

Advertisement

শীত ফিরতেই মুখে হাসি ফুটেছে সবার। সকাল থেকে গরম পোশাক কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা সঞ্জয় টাসি বলেন, “প্রায় ৩৫ বছর ধরে আমি মালদহে শীতবস্ত্র বিক্রি করছি। এবারের মতো কখনও শীত এতো দেরি় করে পড়েনি। ফলে কেনাবেচা না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। তবে আচমকা শীত পড়তেই বিক্রি বাড়ছে।”

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভোরের দিকে তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি। তবে বিকেলের পরে তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি নেমে যায়। সেই সঙ্গে এ দিন দিনভরই ছিল উত্তরের হাওয়া। যদিও গত, দু’দিন আগেই দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রিতে। এক ধাক্কায় রবিবার রাত থেকে তাপমাত্রার পারদ কয়েক গুণ কমে যাওয়ায় শীতের আমেজ তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘উত্তুরে হাওয়া থাকায় কনকনে ঠান্ডা ভাব রয়েছে। এমনটি আগামী দিনগুলোতেও চলার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঠান্ডা পড়তেই বড়দিনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। সেই সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। ইংরেজবাজারের বাঁধ রোড সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে হিমালয় তিব্বতি বাজার বসছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫টি দোকান রয়েছে ওই মার্কেটে। হিমাচল প্রদেশ এবং দিল্লি থেকে ব্যবসায়ীরা গরম পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেন। তাঁরা প্রতি বছর নভেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকে দোকান বসান। আর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কেনাবেচা করেন। নামজা টাসি, সেরাপ, টুঙ্গা গ্যালশন প্রমুখেরা জানান, শীত পড়তেই একদিনে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। যদিও দেড় মাস ধরে লোকসানে দোকানগুলো চলছিল। কারণ এবারের শীতের তেমন দাপট দেখা যায়নি। এমন শীত চলতে থাকলে বিগত বছরগুলোর মতো না হলেও এ বারে সামান্য কিছু লাভের মুখ দেখা যাবে বলে তাঁদের আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন