প্রতীকী ছবি।
শীত কি এসেছে, নাকি আসেনি! ক্যালেন্ডারের পাতা অগ্রহায়ণ সেরে আজ ঢুকছে পৌষে। কিন্তু তাপমাত্রার উল্টো মতিতে অনেকেই ধন্দে, শীতকাল কবে আসবে?
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী দেশে শীতের আনুষ্ঠানিক প্রবেশ হয়েছে। যদিও শিলিগুড়ি থেকে মালদহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও কিছুটা বেশি। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সকালে একটা হাল্কা সোয়েটার চাপালে বেলা বাড়তেই তা খুলে ফেলতে হচ্ছে। আবহাওয়া-কর্তাদের দাবি, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হয়নি। স্বাভাবিকের থেকে এক বা দু ডিগ্রি বেশি-কমের তারতম্যকে স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। তবে বাতাসে যে কনকনে ভাব নেই, তা মানছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অনুপস্থিতিতেই উষ্ণতা একটু বেশি। ঝঞ্ঝা এলে তার টানে উত্তুরে হাওয়াও ঢুকবে। জাঁকিয়ে শীত পড়বে।’’
ভোরে কুয়াশা থাকলেও সকালের পরে আকাশ পরিষ্কার। সূর্যের তেজ বাড়ছে। তাতেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যের পর থেকে অবশ্য নামছে পারদ। কিন্তু কনকনে ভাব? জলপাইগুড়ির দেবজ্যোতি বাগচীর কথায়, ‘‘মাঝ ডিসেম্বরেও জাঁকিয়ে শীত নেই। মেজাজটাই মাটি।’’
কোচবিহারের মুখ্য কৃষি আধিকারিক বুদ্ধদেব ধর বলেন, “এ বার তুলনায় ঠান্ডা অনেকটাই কম পড়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় পারদ ততটা নামছে না বলে মনে হচ্ছে।” বাসিন্দারাও জানান, সে জেলাতেও কনকনে ভাবের অভাব। ব্যবসায়ী মাধব ঘোষ বলেন, “এখনও লেপ নামেনি। ভাবতে পারেন!’’
শীত নেই মালদহেও। চড়া রোদে গরম পোশাক পরে থাকা যাচ্ছে না। এখনও সে ভাবে ঠান্ডা না পড়ায় মাথায় হাত শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের। ব্যবসায়ী স্বপন সরকার বলেন, “গত বছর এর মধ্যে ঠান্ডা পড়ে গিয়েছিল।” তাই ক্রেতাদের অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে থাকা ছাড়া উপায় কী! অন্য ব্যবসায়ী তপন দাস বলেন, “ডিসেম্বর, জানুয়ারিতেই আমাদের কেনাবেচা হয়। আশা করছি এ মাসের শেষে শীত পড়বে।’’
তবে উল্টো চিত্রও রয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই আলিপুরদুয়ার শহর ও সংলগ্ন এলাকা ছিল কুয়াশা। বেলা এগারোটার পরে হাল্কা রোদের দেখা মিললেও দুপুর একটা নাগাদ রোদের তেজ কমে যায়। কাছেই আলিপুরদুয়ার এবং বক্সা পাহাড় এলাকায় দুপুর তিনটেতেই সূর্য মেঘের আড়ালে চলে যায়। সব মিলিয়ে আলিপুরদুয়ারের লোকজন মরসুমের প্রথম কুয়াশাচ্ছন্ন হিমেল দিন কাটালেন শনিবারে।