(বাঁ দিকে) নিহত যুবক সাদ্দাম নাদাব। তাঁকে খুনের অভিযোগে ধৃত মহিলা (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মালদহে যুবককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁর ‘কাকিমা’কে। ১৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর পাশের জেলা থেকে উদ্ধার করা হল ওই যুবকের দেহ। অভিযোগ, দেহটি একটি বাড়িতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। তার পর সেই দেওয়ালে প্লাস্টারও করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দেওয়াল ভেঙে দেহটি খুঁজে পান তদন্তকারীরা।
নিহত যুবকের নাম সাদ্দাম নাদাব। মালদহের পুখুরিয়া থানা এলাকার নাদাব পাড়ার বাসিন্দা তিনি। থাকতেন ইংরেজবাজার শহরে ‘কাকিমা’র বাড়িতে। ভিন্রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন যুবক। কেন তাঁকে খুন করা হল, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে। সেখানে অভিযুক্তের বাপের বাড়ি। সোমবার সকালে সেখানে গিয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে।
গত ১৮ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাদ্দাম। তাঁর পরিবারের তরফে ইংরেজবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক খুঁজেও যুবকের হদিস পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। অভিযোগ, যে মহিলার বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেখান থেকে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় এবং আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দীর্ঘ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেন মহিলা। জানান, সাদ্দামের দেহ পুঁতে রাখা আছে দক্ষিণ দিনাজপুরে তাঁর বাবার বাড়িতে। মহিলাকে এর পরেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম মৌমিতা নাদাব। প্রাথমিক ভাবে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সব রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাদ্দামের পরিবারের বাকি সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।