আতঙ্ক: কাওয়াখালিতে গ্যাসবেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আহতদের নিয়ে দুঃচিন্তার প্রহর। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
গ্যাসবেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু হল সাধনা রায় (৩২) নামে এক মহিলার। জখম হন এক বালক সহ ৬ জন। সাধনার বাড়ি প্রধানগরের সমরনগরে। নৌকাঘাটে বাপের বাড়ি। সেখান থেকেই তিনি এ দিন এসেছিলেন কাওয়াখালিতে একটি ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানে। কাওয়াখালিতে বিশ্ব বাংলা শিল্পীহাটের পাশে একটি মাঠে রবিবার সারা দিনের এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মেলার আয়োজনও ছিল। সেখানেই বিক্রি হচ্ছিল গ্যাস বেলুন। সেই গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে এই বিপত্তি ঘটে। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ এবং মেলা কমিটি সূত্রে খবর, কাওয়াখালির স্থানীয় বাসিন্দা রতন বণিক তাঁর ছেলে ১৩ বছরের রাকেশকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় গিয়েছিলেন গ্যাস বেলুন বিক্রি করতে। মূল অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশেই সেই বেলুন বিক্রির সময়ই হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দে সিলিন্ডারটিতে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মাটি। মঞ্চে এবং ছাউনিতে তখন প্রায় দেড় হাজার লোক। আগুন ছড়িয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। মুহূর্তের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের চাপে পাশে থাকা একটি ছোট গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। মেলা কমিটির সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামেন। অম্বিকানগরের বাসিন্দা রাজকুমার বিশ্বাস বিস্ফোরণ থেকে একটু দূরে ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘কানফাটানো শব্দে ভেবেছি, বোম ফেটেছে। পরে যখন দেখলাম, অনেকেই আহত। তাদের ধরাধরি করে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেই।’’ রতনবাবু এবং তার ছেলে ছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা মোট পাঁচজন আহত হন। আহত হয়েছেন উজ্জ্বল ঘোষ, উত্তম সাহা, রিয়া কার্জি।
আহত আরও বালক ১০ বছরের অক্ষয় সাহা। তবে তাঁকে ভর্তি রাখতে হয়নি। রাকেশ এবং উজ্জ্বল ঘোষের চোট গুরুতর বলে জানান চিকিৎসকরা। রাকেশকে একটি নার্সিংহোমে সরানো হয়। পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। উদ্যোক্তাদের ডাকে এদিন বিকেলে ওই মেলায় গিয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘আমি ফিরে আসার পর এই ঘটনার কথা শুনে মেডিক্যাল কলেজে ফোন করেছিলাম। যথাযথ চিকিৎসা যাতে হয় তা দেখতে বলেছি।’’ সোমবার হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাওয়ার কথা মন্ত্রীর।