ইভটিজিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে ট্রেন থেকে ঝাপ দিয়েছেন এক মহিলা। সোমবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ঘটনা। রেল পুলিশ জানায়, আহতের মহিলা রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।
আলিপুরদুয়ারের কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এনজেপি থেকে ছাড়ার পরে দলগাঁ ও স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেন থেকে ঝাপ দেয় মহিলা। বর্তমানে বীরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি।
শিলিগুড়ির রেল পুলিশ সুপার আন্নাপা জানান, কী ভাবে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। রেলের কিছু লোক ইভটিজিং বলছেন। কিন্তু মহিলা এখনও বয়ান দেননি। অফিসারেরা তাঁকে জিঞ্জাসাবাদ করতে গিয়েছেন। ওই এলাকায় এবং মহিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস দলগাঁও স্টেশন ছেড়ে আলিপুরদুয়ারের দিকে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ এক মহিলা চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। পরে দলগাঁও স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের গ্রামের কাছে রেল লাইনের ধার থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তার পরে স্টেশনমাস্টারকে খবর দেওয়া হয়। ওই মহিলাকে ততক্ষণে পীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেলের কর্মী সংগঠনের সুজিত মিশ্র জানিয়েছেন, কী হয়েছে, খোঁজ নিচ্ছেন তাঁরা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেনের মধ্যেই ওই মহিলাকে কয়েক জন মিলে উত্ত্যক্ত করতে থাকে বলে অভিযোগ। তাদের হাত থেকে বাঁচতেই মহিলা ঝাঁপ দেন। তবে ট্রেনের গতি বেশি না থাকায় প্রাণহানির আশঙ্কা নেই তাঁর।
রেল দফতর এর মধ্যেই ট্রেনের কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকদের তলব করেছে। এ দিন ট্রেনের কোনও কামরায় টিকিট পরীক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ। রেল পুলিশ বা আরপিএফের কাউকেই ট্রেনের কামরায় দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ। রাতের ইন্টারসিটিতে যৌথ পাহারার কথা থাকলেও তা আদৌ ছিল না বলে কয়েক জন যাত্রী জানিয়েছেন। আগামিকাল রেলের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি মহিলার বয়ান নেবে। রেল পুলিশ এবং আরপিএফকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও রাজভাতখাওয়া স্টেশনের কাছে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচতে শিশু কোলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক মহিলা।