প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কিশোরীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত অধরা। অ্যাসিড হামলার ভয়ে ঘরবন্দি একাদশ শ্রেণির ওই কিশোরী। বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার স্কুল ও গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়া। জলপাইগুড়ির ডিএসপি (অপরাধ) ঘটনার তদন্তে নেমেছেন।
ধূপগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম নিবেদন করছিল তারই প্রতিবেশী এক যুবক। কিন্তু বারবারই প্রত্যাখান করে ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার মার সঙ্গে বাজারে যাওয়ার জন্য বেরোতেই অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরীকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিতে যায়। সে সময় কিশোরীর মা রুখে দাঁড়ালে যুবক সরে পড়ে। মায়ের চিৎকারে ছুটে আসে পাড়ার লোকজন। চলে আসে কিশোরীর বাবাও।
সে সময় কিশোরীর বাবার সঙ্গে তার বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে কিশোরীর বাবার সঙ্গে সে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতি দেখে ভয়ে কিশোরী কিছুটা দূরে চলে যায়। লোকজনের মধ্যস্থতায় হাতাহাতি বন্ধ হলে অভিযুক্ত যুবক বিপুল সরকার আচমকাই ওই কিশোরীর উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর শুরু করে। তাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারারও হুমকি দেয়। বাসিন্দারা ছুটে গেলে ওই যুবক পালিয়ে যায়।
মারধরে জখম কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত যুবক বিপুল সরকার সহ তিন জনের নামে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ জানায়। অ্যাসিড হামলার ভয়ে ঘর বন্দি ওই কিশোরী জানায়, “অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় যখন তখন অ্যাসিড হামলা করতে পারে। সেই ভয়ে বাড়ি থেকে বাইরে যেতে ভয় করছে। তাই স্কুলে যাচ্ছি না। টিউশনেও যাচ্ছি না।” কিশোরীর মা-ও বলে, “অ্যাসিড হামলার হুমকির পর কী করে মেয়েকে বাইরে পাঠাই। পুলিশকে অনুরোধ করব দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করুক। ”
জলপাইগুড়ির ডিএসপি (অপরাধ) বিদ্যুৎ তরফদার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাসি চলছে।’’