কাঠ পাচার আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা বনাধিকারিক

কাঠ পাচার রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে জখম হলেন এক মহিলা বন আধিকারিক। শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের আটিয়াবাড়ি চা বাগানের বাঙ্গাবাড়ি এলাকায় মঞ্জুলা তিরকে নামে ওই বন আধিকারিক কাঠ পাচারকারীদের ধরে ফেলেন। আটক করেন দুই ঠ্যালাগাড়ি ভর্তি কাঠও। সেই কাঠ ছিনিয়ে নিতেই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। ভোজালির বাট দিয়ে তাঁর বাঁ হাঁটুতে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তবে ওই কাঠ তারা নিয়ে যেতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৩
Share:

কাঠ পাচার রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে জখম হলেন এক মহিলা বন আধিকারিক। শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের আটিয়াবাড়ি চা বাগানের বাঙ্গাবাড়ি এলাকায় মঞ্জুলা তিরকে নামে ওই বন আধিকারিক কাঠ পাচারকারীদের ধরে ফেলেন। আটক করেন দুই ঠ্যালাগাড়ি ভর্তি কাঠও। সেই কাঠ ছিনিয়ে নিতেই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। ভোজালির বাট দিয়ে তাঁর বাঁ হাঁটুতে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তবে ওই কাঠ তারা নিয়ে যেতে পারেনি।

Advertisement

মঞ্জুলাদেবী ওই দিন সন্ধ্যায় কেবল তাঁর গাড়ির চালককে সঙ্গে নিয়ে কাঠপাচারকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় অন্তত বারো জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “নিমাতি রেঞ্জ থেকে আটিয়াবাড়ি চা বাগান হয়ে আমি রাজাভাতখাওয়ায় যাচ্ছিলাম। রাস্তায় দেখি ঠেলায় করে কাঠ নিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক। তাদের দাঁড়াতে বলে আমি মোবাইল স্কোয়াডে খবর দিই।’’ সেই সময়েই পাচারকারীরা ঠ্যালা ভর্তি কাঠ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এডিএফও বাধা দিলে তাঁর উপর হামলা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাঁ পায়ের হাঁটুতে ভোজালির বাট দিয়ে আঘাত করে ওরা পালিয়ে যায়।’’

বনকর্মীরা এই ঘটনায় সাত দুষ্কৃতীকে চিহ্নিতও করেছে। তাদের নাম করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।’’ মঞ্জুলাদেবীর সাহসের প্রশংসা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, দিন দুপুরে হ্যামিল্টনগঞ্জ, আটিয়াবাড়ি, মেন্দাবাড়ি, পাটকাপাড়া, তপসিখাতা, আলিপুরদুয়ার শহরে সাইকেলে চাপিয়ে কাঠ পাচার করা হয়। নজরদারির অভাবেই অবাধে কাঠ পাচার চলছে। বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, পাচারকারীদের সাহস এত বেড়েছে যে, বাধা দিলে তাঁদের উপরেও হামলা হচ্ছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে হাতি মেরে দাঁত কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তের নেমে তাঁরা জানতে পেরেছেন, রাজাভাতখাওয়া, নিমতি চেকো পানা সহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে জঙ্গল লুঠ চলছে। বনকর্মী কম থাকায় পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মঞ্জুলাদেবী রুখে দাঁড়ানোয় পাচারকারীরা পিছু হঠতে পারে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন