প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে রায়গঞ্জ পুরসভার কাজে সন্তুষ্ট নয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার কর্ণজোড়ায় জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ডাকা বৈঠকে পুর কর্তৃপক্ষকে তা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরসভাকে সতর্ক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মেসের বাসিন্দা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তিনি রায়গঞ্জ হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এই অবস্থায় একাধিক ওয়ার্ডে ডেঙ্গির জীবাণু-বাহক মশার লার্ভা মেলার বিষয়টি জানিয়ে অবিলম্বে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নিয়মিত স্প্রে করা এবং ধোঁয়া ছড়ানোর উপর বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামপুর, ডালখোলা এবং কালিয়াগঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষকেও একই ভাবে তা জানানো হয়েছে। ওই সমস্ত পুর এলাকাগুলোতেও ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজের মান যথাযথ নয় বলে স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে। এ দিন বৈঠকে জেলা পরিষদ এবং স্কুল পরিদর্শকের দফতরকেও ডাকা হয়েছিল।
প্রশাসন সূত্রেই খবর, অতিরিক্ত জেলাশাসক শশীকুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন রায়গঞ্জের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস, সাফাই এবং স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদরা, স্যানিটারি বিভাগের আধিকারিকরা। সেখানেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধার তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ যাতে সঠিক ভাবে হয় সে ব্যাপারে পুরসভাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। আগের চেয়ে আরও জোর দিয়ে কাজে নামতে বলা হয়েছে।’’
রায়গঞ্জ শহরের ৯ এবং ২৫ নম্বরর ওয়ার্ডে সম্প্রতি ডেঙ্গির লার্ভা পান পতঙ্গবিদরা। সেই মতো পুর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। তবে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কোথায় কী করতে হবে সে সব নিয়ম মাফিক জানানো হয়েছে।’’ পুরপ্রধান বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর যে ভাবে জানিয়েছে সে ভাবেই কাজ হচ্ছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।’’