মজুরির দাবিতে ফের আন্দোলন

তিন বছরের চুক্তি মেয়াদের আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। প্রতিবাদে ফের আন্দোলন শুরু করতে চলেছে ডান-বাম চা শ্রমিক সংগঠনগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৬ ০২:০৬
Share:

তিন বছরের চুক্তি মেয়াদের আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। প্রতিবাদে ফের আন্দোলন শুরু করতে চলেছে ডান-বাম চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের ওপরে চাপ বাড়াতে টানা কর্মবিরতি এবং বন্‌ধ ডাকার মতো সিদ্ধান্তও নিয়েছে চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনের শুরু হচ্ছে শিলিগুড়িতে প্রতিবাদ মিছিল দিয়ে। তৃণমূল বাদে অন্য সব রাজনৈতিক দলের চা শ্রমিক সংগঠনগুলি আগামী ২৪ অগস্ট শিলিগুড়িতে মিছিল করবে। উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনারের দফতরে বিক্ষোভও দেখাবে ২৪টি চা শ্রমিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চের বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রথমে শহরের রাস্তায় চা শ্রমিকদের মিছিল-স্মারকলিপির পরে পদক্ষেপের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করা হবে। তারপরে আন্দোলনের ধার-ভার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যৌথ মঞ্চে ডুয়ার্স-তরাই ছাড়াও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রভাবিত পাহাড়ের চা শ্রমিক সংগঠনও রয়েছে।

Advertisement

২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চা শ্রমিকদের মজুরি চুক্তির ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ন্যূনত মজুরি চুক্তি নিয়ে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, শ্রমিক-মালিক এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গড়া হবে, সেই কমিটি পদক্ষেপ করবে। অভিযোগ, চুক্তির পরে আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও দু’টির বেশি বৈঠক হয়নি। প্রথম বৈঠক ছিল পরিচিতি পর্বের। তাতে কোনও আলোচনার এজেন্ডা ছিল না। দ্বিতীয় বৈঠক হয় গত ৯ অগস্ট। কলকাতায় বৈঠক মাত্র আধঘণ্টাতেই শেষ হয়ে যায় বলে দাবি। এরপরেই ক্ষুব্ধ চা শ্রমিক সংগঠনগুলি আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যৌথ মঞ্চের সদস্য তথা এনইউপিডব্লুর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিকুমার ডার্নাল বলেন, ‘‘ন্যূনতম মজুরি লাগু করতে রাজ্য সরকারের কোনও সদ্দিচ্ছাই নেই। না হলে আড়াই বছরে মাত্র দু’টি বৈঠক হতো না। কর্মবিরতি, বন্‌ধের মতো কড়া পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে। আপাতত মিছিল করে স্মারকলিপি দিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করা হবে।’’

আগামী শনিবার কলকাতায় চা শ্রমিকদের বোনাস মিটিং রয়েছে। সেই মিটিঙের আগেও চাপ বাড়িয়ে রাখার কৌশল নিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। যৌথ মঞ্চের সদস্য অভিজিৎ মজুমদার বলেন, ‘‘বোনাস বৈঠক হওয়ার আগে থেকেই মালিকপক্ষের কেউ কেউ নানা যুক্তি দিতে শুরু করেছে। সেই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত বোনাস চুক্তি সেরে ফেলার দাবিতেও আন্দোলন হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন