কী করছিল পুলিশ, প্রশ্ন

অভিযোগ, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি মেলা থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। একই সঙ্গে তাঁর উপরে চলে অকথ্য অত্যাচার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কুশমণ্ডির গণধর্ষিতা যুবতী সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ১৮ ঘণ্টা পড়েছিলেন ইছামতী সেতুর নীচে। স্থানীয় লোকজনেরাই তাঁকে প্রথম দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কুশমণ্ডি থানায় খবর দেন। কিন্তু পুলিশ আসছে না দেখে ওই তরুণীকে তাঁরাই সকলে মিলে কুশমণ্ডির গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠান। মামলা রুজু করে তদন্তের কাজেও তাদের গাফিলতি রয়েছে বলে পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন গ্রামবাসীরা। প্রশ্ন উঠেছে, কেন তারা এত দেরি করল?

Advertisement

অভিযোগ, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি মেলা থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। একই সঙ্গে তাঁর উপরে চলে অকথ্য অত্যাচার। তার পরে ওই সেতুর তলায় তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো এবং মামলা রুজু করতে এত সময় কেন লাগল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতারা। একই প্রশ্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতাদেরও। প্রকাশ্যে না বললেও ঘরোয়া আলোচনায় শাসকদলের নেতাদের কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আদিবাসী নেতাদের বক্তব্য, দু’দিনের মধ্যে জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে যাতে বিষয়টি নিয়ে বেশি শোরগোল না হয়, সে জন্য পুলিশ এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। একই ভাবে সিপিএম জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘প্রথম দিকে ঘটনাটি চেপে যেতে সব রকম চেষ্টা করেছিল পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘুরতে হল হাসপাতালে হাসপাতালে

ফলে শনিবার রাতে ঘটনার পর রবিবার বিকেল নাগাদ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়। তার পরেই পুলিশ কেন মামলা করল না?’’

সোমবার অবশ্য পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের পরে পড়ে রইলেন ১৮ ঘণ্টা!

বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের অভিযোগ, ‘‘দু’দিন আগে গঙ্গারামপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়। তখনও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ প্রথমে অভিযোগ না নিয়ে নির্যাতিতা কিশোরীর মামাকে থানা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুলিশের এই ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা বর্তমানে বেড়ে গিয়েছে। কুশমণ্ডির ঘটনাতেও সেটাই প্রথমে দেখা গেল।’’

জেলা পুলিশ সুপারকে দিনভর ফোন ও মেসেজ করা হলেও তাঁর কাছ থেকে কোনও জবাব মেলেনি। পরে অবশ্য আইজি (আইনশৃঙ্খলা) এক বার্তায় জানান, ‘‘এই ধরনের যৌন অত্যাচারের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’ তিনিই জানিয়েছেন, ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিন্তু তাতে ক্ষোভ পুরোপুরি প্রশমিত করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন