বাইকে করে মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ির।
আহত যুবক আহাদুল ইসলাম বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর বাড়ি কোচবিহারের রাশিডাঙা এলাকায়। তাঁকে ধারাল অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বছর দু’য়েক আগে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে বাড়িতে গোমাংস রাখার অভিযোগে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মহম্মদ আখলাককে। সেই ছায়া কোচবিহারেও পড়ল কি না তা নিয়েই তোলপাড় গোটা জেলা। এর পিছনে কারা রয়েছে, তা খুঁজে বের করার জন্য ওই যুবকদের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
সোমবার আহাদুল জানান, তিনি পেশায় বালি-পাথরের ব্যবসা করেন। ওইদিন দুপুর নাগাদ তিনি সুটকাবাড়ি বাজার থেকে এক কেজি মাংস কিনে বাইকে চেপে তিনি চিলাখানায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ডাউয়াগুড়ির কাছে তল্লিগুড়িতে একটি দোকানের সামনে তিনি দাঁড়ান। সেই সময় দু’জন যুবক তাঁকে আটক করে জানতে বাইকের ব্যাগে মাংস রয়েছে কি না। তা জানার পরে কী মাংস রয়েছে ও তাঁর নাম জানতে চায়। এর পরই শুরু হয় মারধর।
আহাদুল জানান, সেই সময় আরও দু-তিন জন যুবক সেখানে পৌঁছয়। তারা তাঁকে টানতে টানতে শ্মশানের দিকে নিয়ে যান। সেখানে ধারাল অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ওই যুবকের অভিযোগ, সে সময় গোরক্ষা কমিটির নামে ওই যুবকেরা স্লোগান দিতে শুরু করে। ওই সময় তিনি তাঁর দাদাকে ফোন করে ঘটনা জানান। পরে বেহুঁশ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি তো কোনও অপরাধ করিনি। পুলিশকে সব জানিয়েছি। একজনের নাম জানিয়েছি। একজন গ্রেফতার হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে ওই ঘটনার কথা। তিনি বলেন, “বাংলায় এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। অবিলম্বে যাতে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয় তা দেখা হবে। এই সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা রয়েছে। কেউ তা নষ্ট করার চেষ্টা করলে রুখে দাঁড়ানো হবে।” ডাউয়াগুড়ির কাছে ঝিনাইডাঙ্গাতেই আগামী ৭ ডিসেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “এই ধরনের কোনও খবর আমরা পাইনি।’