অনাস্থা নিয়ে পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল

অনাস্থা বৈঠক ডাকতে দেড় মাসেরও বেশি সময় নেওয়ায় আলিপুরদুয়ার পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুরমন্ত্রীকে নালিশ জানাল তৃণমূল। প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত বৈঠক ডাকার দাবিও জানিয়েছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৯
Share:

অনাস্থা বৈঠক ডাকতে দেড় মাসেরও বেশি সময় নেওয়ায় আলিপুরদুয়ার পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুরমন্ত্রীকে নালিশ জানাল তৃণমূল। প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত বৈঠক ডাকার দাবিও জানিয়েছে তারা। গত বৃহস্পতিবার এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে পুরমন্ত্রীকে ফ্যাক্স পাঠিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে বলে শাসক দলের কাউন্সিলররা জানিয়েছেন। হার নিশ্চিত জেনেই ক্ষমতাসীন বাম বোর্ড অনাস্থা বৈঠক ডাকতে গড়িমসি করছে বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

গত বছর অক্টোবরে পুরভোটে আলিপুরদুয়ারের ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা ৮টি, তৃণমূল এবং কংগ্রেস ৬টি করে ওয়ার্ডে জেতে। বোর্ড গঠনের দিন কংগ্রেসের ৬ কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বামেরা বোর্ড গঠন করে। পরে কংগ্রেসের ৬ কাউন্সিলর দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে হয় ১২ জন। এরপরেই গত ৩০ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানকে বৈঠক ডাকতে হয়। তা না হলে ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে ভাইস চেয়ারম্যানকে বৈঠক ডাকতে হয়। ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ডাকতে ৭ দিন সময় পান বলে শাসক দলের দাবি। সেই দাবি অনুযায়ী আলিপুরদুয়ার পুরসভায় গত ২২ অগস্টের মধ্যে পুর কর্তৃপক্ষকে অনাস্থা বৈঠক ডাকতে হত। পুরসভা সূত্রের খবর, গত ২০ অগস্ট চিঠি পাঠিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম তালুকদার আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বৈঠক ডেকেছেন।

তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি কাউন্সিলর বাবলু দত্ত অভিযোগ করেন, “চেয়ারম্যান অনাস্থা নিয়ে বৈঠক ডাকেননি। ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ম ভেঙে প্রায় এক মাস পরে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বৈঠক ডেকেছেন। যে বৈঠক ৩ দিনে ডাকতে হয়, সে বৈঠক ভাইস চেয়ারম্যান এক মাস পরে ডেকেছেন। আমরা চাইছি নিয়ম মেনে প্রশাসন দ্রুত বৈঠক ডাকুক।” আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “পুরসভার অনাস্থা বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। তাই এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

Advertisement

পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক দাবি করেন, “অনাস্থা নিয়ে দলীয় পর্যায় আলোচনায় কিছুটা দেরি হয়েছে। তাই ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ডেকেছেন। পুর আইনে বলা হয়েছে, ন্যূনতম তিন দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকা যাবে। তবে সর্বোচ্চ কত দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকতে হবে, সে বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই। তবে পরিকাঠামো উন্নয়নের কিছু কাজ চলতে থাকায়ও কিছু দেরি হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন