অনলাইনের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী পড়ুয়ার বিভিন্ন তথ্য গোপন রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামল রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ে এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদ। সেই সঙ্গে বাইরের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সফটওয়্যার ব্যবহার না করে কলেজের সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করারও দাবি করা হয়। সোমবার দুপুর ২টা থেকে ছাত্র সংসদের তরফে এসএফআইয়ের সদস্যরা ঘণ্টা দুয়েক কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। ছাত্র সংসদের তরফে অধ্যক্ষকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাস। পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকেল ৪টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর রায়ের দাবি, “অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর, ছবি ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর দেওয়া হলে আমরা মনে করি না তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হবে।”
কলেজ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও ছাত্র সংসদ আন্দোলনে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই যে সমস্ত কলেজে পরিকাঠামো আছে, সেই সব কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ রয়েছে। যদিও অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, ভর্তি সংক্রান্ত কলেজের প্রশাসনিক প্রস্তুতি শেষ না হওয়ার কারণেই অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কবে থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা পরবর্তীতে কলেজের তরফে সংবাদমাধ্যমে বিগ্যাপন দিয়ে ও সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। ছাত্র সংসদের অভিযোগ, স্নাতক স্তরে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর, ছবি ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। গত বছর সাবেক পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের ভর্তি ফি বাবদ ৯০ টাকা দিতে হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এ বছর পড়ুয়াদের তার দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তথা এসএফআই নেতা গৌরব সাহা বলেন, “যেহেতু কলেজ কর্তৃপক্ষ বাইরের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সহযোগিতায় অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনকারী পড়ুয়ারা মোবাইল নম্বর, ছবি ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর দিলে তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। পরে পড়ুয়াদের নম্বরে বাণিজ্যিক এসএমএস পাঠানো হতে পারে। কলেজের সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলনে নামা হবে।”