অভিযুক্তকে ধরতে না পারায় ক্ষোভ

মালদহের বিশিষ্ট চিকিৎসক মানবেশ প্রামাণিককে মারধরের দুদিন পরেও পুলিশ একজন অভিযুক্তকে ধরতে না পারায় জেলার চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আইএমএ-এর নেতৃত্বে জেলার শতাধিক চিকিৎসক মানবেশবাবুর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১৬
Share:

মালদহের বিশিষ্ট চিকিৎসক মানবেশ প্রামাণিককে মারধরের দুদিন পরেও পুলিশ একজন অভিযুক্তকে ধরতে না পারায় জেলার চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আইএমএ-এর নেতৃত্বে জেলার শতাধিক চিকিৎসক মানবেশবাবুর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আইএমএ-র চিকিৎসকেরা হুমকি দিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে পুলিশ যদি সমস্ত হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে তবে জেলার চিকিৎসকেরা রোগী দেখা বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

Advertisement

জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “মালদহ জেলায় ওই চিকিৎসককে মারধর করা হয়নি। দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুরে চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। মালদহ জেলার আইএমএর চিকিৎসকরা অভিযুক্তদের ধরার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। মালদহ রেঞ্জের ডিআইজির হস্তক্ষেপ চেয়েছি।” এ ব্যাপারে ডিআইজি সত্যজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুত সমস্ত অভিযুক্তদের ধরতে বলা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার দুপুরে চিকিৎসক মানবেশ প্রামাণিক গঙ্গারামপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করছিলেন। সেই সময় ৩৪-৩৪ জন জন যুবক তাঁর চেম্বারে ঢুকে গলা টিপে চেয়ার থেকে টেনে চেম্বারের মেঝেতে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। মানবেশবাবুর অভিযোগ, “উত্তেজিত যুবকরা আমাকে চেয়ার থেকে ফেলে এলোপাথাড়ি লাথি, কিল, চড় মারতে থাকে। একজন চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘আজ তোকে মেরেই ফেলব।’ একটি ছুরি বার করে আমার গলা লক্ষ করে চালিয়ে দেয়। কোনওরকমে আমি হাত সরালে ছুরিটি আমার চিবুক ছুঁয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। হামলাকারীরা আমাকে চেম্বার থেকে টেনে বার করার চেষ্টা করে। হইচই করলে ক্লিনিকের বাকি কর্মীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালায়।”

Advertisement

এদিন আইএমের জেলা সভাপতি মুরারি লালা গুপ্তা বলেন, “পুলিশ ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরেও অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি। পুলিশ যদি সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে তবে জেলার চিকিৎসরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।” আইএমএর রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী জানান, পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে জেলার সমস্ত চিকিৎসকেরা রোগী দেখা বন্ধ করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement