মালদহ জেলা পরিষদ কংগ্রেসের হাত ছাড়া হবে বলে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই জেলা নেতৃত্বের প্রতি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যরা।
বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জেলা পরিষদের সদস্যরা ফ্যাক্স মারফত চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি। ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে আসল জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিধানসভা ভোটের আগে নেতৃত্বের প্রতি জেলা পরিষদের সদস্যদের ক্ষোভের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের তৃণমূলের দল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, ‘‘বিরোধী হওয়ায় আমাদের এলাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না। এমন কী দলীয় নেতৃত্বও আমাদের কোনও সহযোগিতা করছেন না। আমরা শাসক দলে থেকেও মানুষের জন্য কোনও কাজ করতে না পারায় ক্ষোভের মুখে পড়ছি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।’’
যদিও দলের সদস্যদের পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে ঘেরাও অভিযান করেছি। ফলে জেলা পরিষদ নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’’
মালদহ জেলা পরিষদের মোট ৩৮টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে কংগ্রেস এবং বামেদের দখলে রয়েছে ১৬টি করে। তৃণমূলের দখলে ছ’টি। সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরে জনসভা থেকে জেলা পরিষদ ভাঙার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেছিলেন ‘‘অন্য দল থেকে সদস্যরা যোগ দেবেন তৃণমূলে। ফলে জেলা পরিষদ দখল করবে তৃণমূল।’’ সেই অবস্থায় দলীয় নেতৃত্বদের অস্বস্তি বাড়িয়ে নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদের ছয় সদস্য হবিবপুরের প্রভাস চৌধুরী, ফাল্গুনী টুডু, ইংরেজবাজারের উজ্জ্বল চৌধুরী, কল্যাণ মণ্ডল, মানিকচকের গৌড় চন্দ্র মণ্ডল, কালিয়াচকের কল্পনা চৌধুরী তৃণমূলের সদস্য রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, দলের তরফ থেকে তাঁদের কোনও সাহায্য করা হয় না।