আইএসসির কৃতী শিলিগুড়ির সৌরভ

আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে কৃতীদের মধ্যে জায়গা করে নিলেন শিলিগুড়ির ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র সৌরভ গোয়েল। শনিবার ফল প্রকাশের পর স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কমার্সের ছাত্র সৌরভ পেয়েছেন ৯৮.৭ শতাংশ। শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডের বাসিন্দা সৌরভ দেশেও কৃতীদের মধ্যে রয়েছেন। তবে এতটা সাফল্য সৌরভ নিজেও প্রত্যাশা করেননি বলেই জানান সৌরভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৪ ০১:৫০
Share:

সাফল্যের হাসি। মায়ের সঙ্গে সৌরভ। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে কৃতীদের মধ্যে জায়গা করে নিলেন শিলিগুড়ির ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র সৌরভ গোয়েল। শনিবার ফল প্রকাশের পর স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কমার্সের ছাত্র সৌরভ পেয়েছেন ৯৮.৭ শতাংশ। শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডের বাসিন্দা সৌরভ দেশেও কৃতীদের মধ্যে রয়েছেন। তবে এতটা সাফল্য সৌরভ নিজেও প্রত্যাশা করেননি বলেই জানান সৌরভ। স্কুলের শিক্ষকরা ছাড়া ইংরেজি, অঙ্ক ও অ্যাকাউন্টেন্সি বিষয়ে গৃহশিক্ষকের সাহায্য নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সৌরভের বাবা ললিত গোয়েল ব্যবসায়ী। নীচু ক্লাসে সৌরভের মা ববিতাদেবী-ই ছেলেকে পড়াশোনার ব্যাপারে সাহায্য করতেন। পরবর্তীতে স্কুলের পড়াশোনার উপরই মূলত নির্ভর করতে হত তাঁকে। এ দিন শুভসংবাদ পেতেই তাঁকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুরা। স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষ ভি টি জোসের সঙ্গে দেখা করে আসেন সৌরভ। অধ্যক্ষ বলেন, “সমস্ত পড়ুয়াদের রেজাল্ট না পেলেও সৌরভের বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।”

পড়াশোনার কোনও বাঁধাধরা রুটিন ছিল না সৌরভের। তবে কী কী পড়তে হবে সেটা মাথায় রেখে মন দিয়ে সেগুলি রপ্ত করার চেষ্টা করতেন তিনি। সময় হিসাব করে, ঘড়ি ধরে পড়ার মতো কোনও ব্যাপার তাঁর থাকত না। স্কুলের পড়ানোর উপরেই জোর দিতেন সৌরভ। সেটাই পড়ার বিষয়ে অনেক সমস্যা মেটাতে সাহায্য করত।

Advertisement

খেলাধুলো ভালবাসেন সৌরভ। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের ফ্যান তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলে তাঁর প্রিয় দল ইংল্যান্ড। সৌরভ জানায়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বরাবর তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়েই গলা ফাটান। কবিতা, গল্প-ও লেখেন। প্রিয় বিষয় অর্থনীতি। তা নিয়েই ভবিষ্যতে পড়তে চান তিনি। কলকাতা বা দিল্লির ভাল কোনও কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। কর্পোরেট দুনিয়াতে চাকরির একটা ইচ্ছে রয়েছে। তবে পেশাগত ভাবে কী করবেন তা ভাবতে আরও বছর তিনেক সময় নিতে চান এই ছাত্র। সৌরভ বলেম, “এতটা সাফল্য সত্যিই প্রত্যাশা করিনি। ভাল লাগছে। স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের অবদানটাই বড়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন