এরকম আশ্চর্য ঘটনা পৃথিবীর কোথাও ঘটেছে কিনা জানিনা। আমাদের মেয়ে খুনের প্রধান সাক্ষীকে কেন আমার স্বামী খুন করতে যাবেন? পুলিশকে চাপ দিয়ে ওরা বদলা নিল।
মেয়ে খুন হওয়ার পর তৃণমূলের ১৩ জন কর্মী সমর্থকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম আমরা। তাদের গ্রেফতার করা হলেও কয়েক মাস পরেই জামিন পেয়ে ওরা বাইরে বেড়িয়ে আসে। তারপর থেকেই আমাদের হুমকি দিতে শুরু করে। আমাদের মেয়েকে খুনের ঘটনায় যে প্রধান সাক্ষী ছিল সেই নিতাই সিংহ রায়কেও ওরাই খুন করেছে। তারপরে আমার মেয়ের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চন্দ্র রায় ও গোবিন্দ ভৌমিক, নিতাই এর স্ত্রীকে লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলে টানে। টাকার বিনিময়ে ওই খুনের ঘটনায় আমার স্বামী ও আমার দাদা-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সে।
নিতাই সিংহ রায়কে কেন খুন করতে যাবেন আমার স্বামী বা আমার দাদা। তাহলে তো শাস্তি হবে না আমার মেয়েকে যারা খুন করেছে তাদের। কারণ উনিই ছিলেন প্রধান সাক্ষী। তৃণমূলের ওই কর্মীরা আমার স্বামী আর দাদাকে এই খুনের ঘটনায় ফাঁসিয়ে দিয়ে বদলা নিল।
আমরা খুবই আতঙ্কিত। আমার পরিবারের উপর আরও আঘাত আসতে পারে। তবে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসবো না। আমার মেয়েকে যারা খুন করেছে, আর মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে আমার স্বামী ও দাদাকে তাদের শাস্তি চাই।
(প্রতিবেদক নিহত ছাত্রীর মা)