মালদহ থেকে কালিয়াচকের মধ্যে জাতীয় সড়কের হাল এমনই। সুস্থানি মোড় এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
আড়াই মাসেও অবস্থার বদল হয়নি। কলকাতা থেকে সড়ক পথে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে যাওয়ার পথে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১১ অগস্টের ঘটনা। কেন্দ্রকে তোপ দেগে রাজ্যের আমলাদের উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে আড়াই মাস কেটে গিয়েছে। সংস্কার তো দূর অস্ত, জাতীয় সড়কের অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে। খানাখন্দ বেড়ে গিয়েছে। কোথাও দু’ফুট, কোথাও তিন ফুট গর্ত হয়ে গিয়েছে রাস্তায়।
মালদহ থেকে কালিয়াচক ১৯ কিলোমিটার জাতীয় সড়কে মাত্র ৫-৬ কিলোমিটার বাদে এক হাত পর পর বিশাল গত। সেই গর্তে পণ্য বোঝাই ট্রাক পড়ে উল্টে যাচ্ছে। ফলে, প্রতিদিনই যানজট হচ্ছে। কালিয়াচক থেকে মালদহ ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরুতে গড়ে সময় লাগছে ২০৩ ঘণ্টা। কোনওদিন আরও বেশি। বহুদিন বেহাল জাতীয় সড়কের জেরে স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীরা সময়মতো স্কুলে ও অফিসে হাজিরা দিতে পারছেন না।
জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতের ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এনএইচআইয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর আমাকে জানিয়েছেন পুজোর পর জাতীয় সড়কের মেরামতের কাজ শুরু করবে।” জেলার মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও স্বীকার করেন, দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, যদি এনএইচআই জাতীয় সড়ক মেরামতের কাজ না করে, তবে আমরা রাস্তা মেরামতের কাজ করব।” জাতীয় সড়কে মেরামতের দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূরও। তিনি বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতের দাবিতে জেলা কংগ্রেস কালীপুজোর পর রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামবে।”
জাতীয় সড়ক মেরামতের ব্যাপারে এনএইচআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, “ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ৩৪ নম্লর জাতীয় সড়ক মেরামতের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ১০-১৫ দিনের মধ্য জাতীয় সড়কে যে সমস্ত গর্ত হয়েছে তা মেরামতের কাজ শুরু হবে।”