উত্তরের চিঠি

দিনহাটা শহরের পৌরসভা এলাকায় ট্র্যাফিক আইন অনুযায়ী সব গাড়ি চলাচল করছে না। অনেক সময় ট্র্যাফিক আইন নস্যাৎ করে গাড়ি চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিরোধ করার কেউ নেই। মেন রোডে ভারী ট্রাকগুলোও কখনও কখনও সারিবদ্ধ ভাবে শহরের মূল পথে চলাচল করছে। ওই ট্রাকগুলো যানজটের সৃষ্টি করছে। সোমানি রোডে হোটেলের সামনে দাঁড় করিয়ে ওই সব ট্রাকে মালপত্র লোড আনলোড করা হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ০১:৩৩
Share:

রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সারিবদ্ধ গাড়িগুলিই তীব্র যানজটের সৃষ্টি করছে। —নিজস্ব চিত্র।

বেআইনি পার্কিংয়ে নাজেহাল ট্রাফিক

Advertisement

দিনহাটা শহরের পৌরসভা এলাকায় ট্র্যাফিক আইন অনুযায়ী সব গাড়ি চলাচল করছে না। অনেক সময় ট্র্যাফিক আইন নস্যাৎ করে গাড়ি চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিরোধ করার কেউ নেই। মেন রোডে ভারী ট্রাকগুলোও কখনও কখনও সারিবদ্ধ ভাবে শহরের মূল পথে চলাচল করছে। ওই ট্রাকগুলো যানজটের সৃষ্টি করছে। সোমানি রোডে হোটেলের সামনে দাঁড় করিয়ে ওই সব ট্রাকে মালপত্র লোড আনলোড করা হয়।

সাহেবগঞ্জ রোডের মহেশ্বরী ভবনের সামনে গাড়ি সারানো তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পথের উপরে গাড়ি পার্কিং চলে আনায়াসে। এ জন্য প্রশাসন কোনও গাড়ির মালিককে জরিমানা পর্যন্ত করে না। এখন দিনহাটা শহরের পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডেও চলে এ রকম অবাধে পার্কিং। এর ফলে জনগণ নিদারুণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ট্রাকের মালিকরা এ ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে বেআইননি ভাবে গাড়ি পার্কিং করে চলেছেন। এ বিষয়ে পুর কমিশনারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

Advertisement

জনগণ ভয়ে মুখ খুলতে চান না। পুর কমিশনারের উচিত সরেজমিন তদন্ত করে বিষয়টি দেখা। এ ছাড়া পথের উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বালি পাথর রাখা হচ্ছে। পথচারীদের এবং যান চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে। পথ দুর্ঘটনা বন্ধ করতে অবিলম্বে পথের উপর থেকে বালি, ইট, পাথর সরিয়ে দেওয়া উচিত।

শহরের মূল পথের দু’ধারের ড্রেন সঙ্কুচিত হচ্ছে। তার উপর পথের দু’ধারে দোকানঘর তোলার হিড়িক পড়ে গেছে। এর ফলে ড্রেনের আয়তন খুবই কমে গেছে। ড্রেনের গভীরতা কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে বৃষ্টির জলেও বন্যা হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শহরের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার কার্যকরী উদ্যোগ নেই। নেই ড্রেন সংস্কারের নিয়মিত ব্যবস্থা। এ সবের ফলে জল দ্রুত সরে না, জমে যায়। পুরসভার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনও কার্যকরী উদ্যোগ নেই। পানীয় জলের অবস্থাও তথৈবচ। দিনহাটা পুরসভা এ ব্যাপারেও কোনও কৃতিত্বের দাবি করতে পারে না। ট্যাপের মুখে ছিপি না থাকায় প্রচুর জল নষ্ট হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগও এ ব্যাপারে নির্বিকার। কোথাও কোথাও ট্যাপকলগুলো থেকে জলও পড়ে না। এগুলি সংরক্ষণের দিকে কারও নজরও নেই। এই সব ট্যাপে কিছু লোক পানীয় জল নেওয়ার পরিবর্তে কাপড়কাচা, বাসন মাজাও করে থাকেন।

ক্রমবর্ধমান বেপরোয়া ঝুপড়ি এবং দোকান গজিয়ে ওঠায় শহরের প্রধান রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন ও পুরসভা উভয়েই নিষ্ক্রিয়। এর সুযোগ নিয়ে রাস্তা অবরোধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক দলগুলির প্রচ্ছন্ন মদতেই এগুলি চলছে। তাই কোনও প্রতিবাদ হয় না। জনগণের অসুবিধা হলেও রাজনৈতিক দলগুলো চুপচাপ। এমন ভাবে চললে একদিন দোকানদাররাই আইন নস্যাৎ করে রাস্তা বেদখল করবে আর জনগণ ললিপপ চুষবে।

অনল বসুনিয়া, বড়শাকদল, দিনহাটা, কোচবিহার

রায়গঞ্জে চাই হৃদয় বিশেষজ্ঞ

আমি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের অধিবাসী। রায়গঞ্জে প্রকৃত পক্ষে হৃদয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেউ আছে বলে জানা নেই। আক্রান্ত হলে তাই প্রাথমিক ভাবে রায়গঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং নিয়মানুসারে ‘রেফারড’ হয়ে হয় কলকাতা নয়তো শিলিগুড়ি রওনা হতে হবে। রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে দুটি ‘বিউটি স্টপ’ ছিল। একটি ডালখোলা রেলগেট, অন্যটি কিসানগঞ্জ রেলগেট। কিসানগঞ্জ অনেক দিনই হল উড়ালপুলের সাহায্যে রেলগেটের বাধা অতিক্রান্ত। আমরা বাঙালি বলেই বোধহয় ডালখোলার রেলগেটের সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি এবং সুদূর ভবিষ্যতে হবে বলেও মনে হয় না। এ বিষয়ে কৃতিত্বের অধিকারী অবশ্যই রায়গঞ্জবাসী তথা হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, কুশমণ্ডি, বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট, ইটাহার, হরিরামপুর ইত্যাদি স্থানের অধিবাসীদের যাদের আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি যেতেই হয়। আমরা সমবেত ভাবে আমাদের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরতে পারিনি। বাধ্য করতে পারিনি দ্রুত উড়ালপুল তৈরি করাতে।

কৃতিত্বের দাবিদার অবশ্য আমাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণও। আমাদের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি এবং বর্তমান সাংসদ সেলিম সাহেবের অপরিসীম কর্মক্ষমতাও এর সুরাহা করতে পারেনি। শুধু উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্যই নাকি মন্ত্রী আছেন শুনি। ওই দফতরের মন্ত্রী আগে ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য মহাশয়। বর্তমানে গৌতম দেব মহাশয়। কিন্তু ওঁদের দৃষ্টিশক্তি এতটা নয় যে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে তা রায়গঞ্জ ও তার দক্ষিণে প্রসারিত হবে। তাই মারাত্মক অসুস্থ রোগী নিয়ে রাওনা হয়ে বিশেষ করে ভুট্টার সিজিনে ডালখোলা পর্যন্ত পৌঁছে ৩-৪ ঘণ্টা জ্যামে আটকে রোগী দেহত্যাগ করলে গাড়ি ঘুরিয়ে একেবারে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এতে চিকিৎসার খরচ অবশ্য বাঁচে।

রণজিৎ রায়। রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন