উত্তরের চিঠি

আদর্শ শহর গড়তে উদ্যোগী হোন পুরপতি

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৫ ০২:১৪
Share:

আদর্শ শহর গড়তে উদ্যোগী হোন পুরপতি

Advertisement

প্রায় একমাস অতিক্রান্ত হল জলপাইগুড়িতে তৃণমূল পরিচালিত নতুন পুরবোর্ড গঠন করা হয়েছে। অথচ শহরের দীনতার চেহারা আগেও যেমন ছিল তোমনই বর্ষার প্রারম্ভে নালা-নর্দমাগুলোও সংস্কার ও পরিষ্কারের কাজে আজও হাত দেওয়া হয়নি।

ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডেই আজও স্তূপীকৃত আবর্জনা জমে থাকার ফলে জল নিকাশি ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়ে যাচ্ছে যার কারণে এ বারেও ভরা বর্ষাতে প্রতি ওয়ার্ডের নাগরিকগণ জলবদ্ধতার সমস্যার সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলেই আমাদের মনে হয়। শুধুই তাই নয় সম্প্রতি পুর-নির্বাচনের আগে প্রতি ওয়ার্ডের দেওয়ালগুলো যে ভাবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়াল লিখনগুলো আজ নির্বাচনের পরেও যে ভাবে জ্বলজ্বল করছে সেই দেওয়াল লিখনগুলো মুছতে প্রশাসনের তরফ থেকেও যেমন কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না তেমনই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর যেন কোন সেই উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। অথচ নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কারণ শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভার সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদেরও যেমন দায় রয়েছে তেমনই ওয়ার্ডগুলোর (ওয়ার্ডের) রাজনৈতিক দলগুলোরও এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে তাদের দেওয়াল লিখন মুছতে এগিয়ে আসা বিশেষ প্রয়োজন। নইলে পরিবেশও যেমন দূষিত হবার সম্ভাবনা দেখা দেবে তেমনই ওয়ার্ডের চেহারাগুলোও একটা কুৎসিত আকার ধারণ করতে পারে, যার জন্য জায়ী করা হবে শুধু পুরসভা ও প্রশাসনকেই নয় রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বদের যারা এই পুর-নির্বাচন দলকে পরিচালনা করেছিলেন। এ দিকে শহরে অসংখ্য সংখ্যক টোটো চালু হবার পর শহরের বিশেষ বিশেষ রাস্তাগুলো যেভাবে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তাতে আগামী দিনে এই জনবহুল রাস্তাগুলোতে যাতে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে, তা নিয়েও পুরসভা ও প্রশাসনকেও একটু নজর দিতে হবে জনসাধারণেরই স্বার্থে।

Advertisement

পরিশেষে জলপাইগুড়ি শহরের এক দীর্ঘনিবাসী জলপাইগুড়ি প্রেমী হয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে আমার প্রতিবেদনটি শেষ করতে চাইছি। মূলত শৌচাগারের অভাবে যেভাবে শহরের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে জলপাইগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই শৌচাগার তৈরি করার বিষয়টিতেও পুরসভাকে গুরুত্ব দিতে হবে যাতে পথচলা মানুষগুলো শৌচাগারের অভাবে যত্রতত্র প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করে শহরকে দূষিত করে না তুলতে পারে আগামী দিনে।

অরবিন্দ কুমার সেন, মহামায়াপাড়া, জলপাইগুড়ি

ওদের দিন কাটে নদীর উপর ঘরে

মাতৃহীন দুই বোন কাবেরী ও গৌরী।—নিজস্ব চিত্র।

এখনও আমাদের সমাজে মেয়েরা যে কত অসহায় তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ দিনহাটায় বড় শাক দল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম খণ্ড লাঙ্কুলিয়া গ্রামের কাবেরী দাস (৬) ও গৌরী দাস (৮)। মাতৃহীন এই দুই বোনের রাত কাটে বানিয়াদহ নদীর ওপর মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার বাঁশের তৈরি ছোট্ট ধরের মধ্যে। বাবা গোবিন্দ দাসের মূল পেশা এখন ভিক্ষা বৃত্তি। কখনও কখনও মাছ ধরেন। কিন্তু এই ধরে গোবিন্দ দাসের নিজের পেটই চলে না। গৌরীও কাবেরী লাঙ্গুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথাক্রমে প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মূলত বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবারেই তাদের ভরসা। পরণের জামাকাপড় নেই। নেই ঘরে কোনও খাবারের ব্যবস্থা বা নিজেদের বাস গৃহ। গোবিন্দ দাস জানালেন প্রশাসন ও পঞ্চায়েত প্রধানদের বারে বারে জানিয়েও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। তাই দুই মেয়ে নিয়ে অসহায় পিতা পড়ে রয়েছেন মৎস্যজীবীদের এই ঘরে অর্ধাহারে অনাহারে।

অনল বসুনিয়া। দিনহাটা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন