এজেন্ট খুন, বন্ধ সীমান্ত বাণিজ্য

বাংলাদেশে সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ক্লিয়ারিং এজেন্টের খুনের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে মহদিপুর সীমান্তে বাংলাদেশে সমস্ত পণ্য রফতানি বন্ধ। ফলে মহদিপুর সীমান্তে ফল, পেঁয়াজ, ভুট্টা ভর্তি ৭০০টিরও বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ও পারেও আটকে রয়েছে প্রায় ৩০০টি ট্রাক। শুক্রবার বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ থাকে। শনিবার রফতানির জন্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের নিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো ট্রাক পণ্য নিয়ে মহদিপুর সীমান্তে হাজির হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৪১
Share:

মহদিপুর সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

বাংলাদেশে সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ক্লিয়ারিং এজেন্টের খুনের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে মহদিপুর সীমান্তে বাংলাদেশে সমস্ত পণ্য রফতানি বন্ধ। ফলে মহদিপুর সীমান্তে ফল, পেঁয়াজ, ভুট্টা ভর্তি ৭০০টিরও বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ও পারেও আটকে রয়েছে প্রায় ৩০০টি ট্রাক। শুক্রবার বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ থাকে। শনিবার রফতানির জন্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের নিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো ট্রাক পণ্য নিয়ে মহদিপুর সীমান্তে হাজির হয়। কিন্তু সকাল থেকে রফতানি বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তার উপর আজ, রবিবার জামাতের ডাকা বন্‌ধে বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ থাকবে। পর পর তিনদিন রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় অন্তত ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছে পশ্চিমবঙ্গ এক্সপোর্টার্স অ্যসোসিয়েশন। সংস্থার রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক উজ্বল সাহা বলেন, “মহদিপুর স্থলবন্দর থেকে বছরে বাংলাদেশে দু’হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়। তিনদিন রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার ফলে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে।”

Advertisement

মহদিপুর এক্সপোর্টার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের সোনা মসজিদ সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের এক ক্লিয়ারিং এজেন্ট খুন হন। তার জেরে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা যায়। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়া ট্রাকের চালক ও খালাসিরা পানামা স্থলবন্দর থেকে বেরোতে পারছেন না। অন্য দিকে, ও পারে পণ্য নিয়ে গেলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় কোনও ট্রাকচালকও সেখানে যেতে রাজি হননি। মহদিপুর ট্রাক ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপ জেলানির্বাহী আধিকারিক জিরো পয়েন্টে এসেছিলেন। বাংলাদেশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বাংলাদেশের আমদানিকারীরা পণ্য নিয়ে রাজি হচ্ছেন না। সেই কারণে এপারের কোনও ট্রাকচালক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যেতে রাজি হচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে বংলাদেশে পণ্য রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement