প্রচারে কংগ্রেস আর বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে তপনে রবিবার সভা করেছেন মুকুলবাবু। সে সভাতে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দক্ষিণ দিনাজপুরে রেলের যে প্রকল্প কাজ শুরু হয়েছিল, কংগ্রেস সে সব বন্ধ করে দিয়েছে। সারাবছর বিজেপি নেতাদের দেখা মেলে না বলেও তিনি কটাক্ষ করেন। মুকুল সভায় বলেন, “বাজেটে বুনিয়াদপুরে ওয়াগানের কারখানা, হিলি-বালুরঘাট রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছিলাম। ওরা (কংগ্রেস) সব কাজ তুলে নিয়ে গেল। গনিখান একলাখি রেলপথের শিলান্যাস করেছিলেন। গত ৩০ বছর ধরে সেখানে ঢিবি হয়ে পড়েছিল। মমতা একলাখি-বালুরঘাট রেলপথ চালু করে দিয়েছেন।” মুকুলবাবুর কটাক্ষ, “এর পরেও ওরা বাংলাকে ভালবাসে?” দলের প্রার্থী অর্পিতা কাজের মেয়ে, ওকে জেতালে কাজ হবে বলে মুকুলবাবু এ দিন সভায় দাবি করেন। সভা থেকে কমনওয়েলথ গেমস থেকে টুজি কাণ্ড সব বিষয়েই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিদায়ী কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুকুলবাবু। সভায় বিজেপির সমালোচনা করে তাঁর অভিযোগ, “সারা বছর এদের দেখা যায় না। কেন কাগজে কলমে কেউ নিজেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাচ্ছেন। বিজেপি ১৬০টি আসন জিততে পারবে না।” তপনের পথসভার পর তিনি সড়ক পথে বালুরঘাটে এসে সার্কিট হাউসে জেলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি বলেন, “জেলায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় আছে। বালুরঘাট শান্তিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু এখানে অর্পিতার বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচারে নেমেছে বিরোধীরা। বিষয়টি পর্যবেক্ষকে জানানো হয়েছে। সব নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি।” অভিযোগের পাল্টা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকাকালীন সঙ্গতহীন বহু প্রকল্প তিনি শিলান্যাস করেছিল। তার মধ্যে এই জেলাতেও বেশ কিছু প্রকল্প ছিল। অধীর চৌধরী রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে বাস্তবতা মেনে কাজ করেছেন। তিনি জেলায় নতুন ট্রেনও দিয়েছেন।” এ দিন বিকেলে মুকুলবাবু হেলিকপ্টারে চেপে মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।