কাজের খোঁজে গিয়ে বন্যা বিধ্বস্ত শ্রীনগরে নিখোঁজ হয়েছেন ময়নাগুড়ির তিন যুবক। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হল তাঁদের পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ত্রাণমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী।
ময়নাগুড়ির দোমহনি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নিখোঁজ ওই তিন যুবকের নাম ধ্রুবজিত তালুকদার, বিনয় রায় এবং শম্ভু রায়। ২৭ অগস্ট তাঁরা শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। ২৯ অগস্ট শ্রীনগর ট্যুরিস্ট সেন্টারে পৌঁছে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। ৪ সেপ্টেম্বর রাতেও শেষবার যোগাযোগ হয়। ধ্রুবজিতের মা ঝর্ণা তালুকদার জানান, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে দিনরাত ফোন করেও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
একই দশা বিনয়ের পরিবারের। তাঁর বৌদি রেণুদেবী বলেন,“কতবার ফোন করছি। লাভ হচ্ছে না।” সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ত্রাণ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।”
এ দিনই সিটুর জেলা সম্পাদক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুবীর বিশ্বাস অভিযোগ করেন উত্তর দিনাজপুরের নয়টি ব্লকের প্রায় দু’হাজার শ্রমিক কাশ্মীরে আটকে পড়েছেন। তাঁর কথায়, জেলার ন’টি ব্লকের প্রচুর মানুষ কাশ্মীরে রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রীর কাজ-সহ দিনমজুরির কাজ করেন। সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যে এরকমই ৩৭৭ জনের একটি নামের তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।